ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১২ ফ্রেব্রুয়ারিঃ আপনারা কি কোনদিন  শুনেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘প্রক্সি’ দেওয়ার কথা। আজ মায়ের পরিবর্তে ছেলে তো কাল দাদার পরিবর্তে বোন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস স্কুলে আসছেন। ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। আবার বেতনও পাচ্ছেন।  এমনই অভিযোগ উঠেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা এলাকার একটি স্কুলে।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক মামলা উঠেছে হাই কোর্টে। চাকরি হারাচ্ছেন একের পর এক শিক্ষক থেকে  শুরু করে গ্রুপ ডি কর্মী। এরই মধ্যে ডুয়ার্সের বানারহাট অঞ্চলের  গয়েরকাটা এলাকার ‘অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এ ঘটনা । গত কয়েক মাস ধরেই স্কুলে আসছিলেন না দু’জন  শিক্ষক-শিক্ষিকা। মণি পাল ও  সুদীপ্তকুমার দে  নামে দুজন পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকা। মণি পাল বোসের পরিবর্তে আসেন তাঁর ছেলে প্রীতম বোস এবং সুদীপ্তকুমার দের জায়গায় আসেন  তাঁর বোন রূপা দে। প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি ‘প্রক্সিও’ দেওয়া যায়? নাকি পুরটাই গোড়ায় গলদ?

এইপ্রসঙ্গে , প্রীতম বোস বলেন, মায়ের শরীর ভালো না থাকার জন্যই গত ৬ মাস এই স্কুলে শিক্ষাকতা করছি। এসআই  আমাকে লিখিত অনুমতি দিয়েছে বলেই কাজ করছি। পাশাপাশি সুদীপ্তকুমার দের বোন রুপা দে বলেন, গত চার বছর ধরে দাদা অসুস্থতার কারণেই আমি তার  পরিবর্তে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছি। গোটা ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে আসা মাত্রই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চারী গঙ্গোপাধ্যায় পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেন। এই প্রসঙ্গে, ধূপগুড়ি উত্তর-১ মণ্ডল সভাপতি বিজেপির কৌশিক নন্দী বলেন, রাজ্যের গোটা শিক্ষা দফতরটাই যখন জেলে। নতুন করে এদের থেকে  বেশি কিছু আশা করা যায় না।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর