বাঁকুড়া পুলিশের একটি বিজ্ঞপ্তি ও পুলিশ সুপার ভৈরব তেওয়ারি এর বিবৃতি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যে। সাধারন মানুষের বোঝার সাধ্য নেই, এই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা নিয়ে এবার কি পুলিসবাবুরা। শিক্ষা নিয়েও কি ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে এই রাজ্য। পুলিশ শিক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াবে সিভিক ভলেন্টিয়ারা। এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন খোদ বাঁকুড়া পুলিশ সুপার। আর তা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিকাশ ভবনে।
এই বিষয়ে বিকাশ ভবন বাঁকুড়ার প্রশাসনকে জানিয়েছে এখনই উদ্যোগী হয়ে এই সব করতে হবে না. অতএব সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাতা বসু।এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল অঙ্কুর। এইটি একটি বাঁকুড়ার পুলিশের সম্মিলিত কর্মসূচি যাতে ঠিক হয়েছিল স্কুলের বাইরে প্রাথমিক ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ পঠন পাঠন দেবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিভিক ভলেন্টিয়াররা।পুলিশসুপার স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন অংক ও ইংরেজি শেখানো দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ওপরে।
এই নিয়ে বিরোধীদলের নেতারা অভিযোগ করছেন যে “প্রাথমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থার মাজা ভেঙ্গে দেওয়ার ছক কষেছে রাজ্য সরকার।বিরোধীদের আরও অভিযোগ বাংলায় সিভিক ভলেন্টিয়ার অর্থ হল ১০০ জনের মধ্যে 99 জন তৃণমূলের গুন্ডা,আর তাদের কাজ হলো নেতাদের হয়ে তোলাবাজি করা। এরা যদি সকালে তোলাবাজি করে বিকালে মাস্টারমশাই হয়ে যায় তাহলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কি হবে সহজে অনুমান করা যাচ্ছে, আর এটা একমাত্র দিদির স্বৈরাচারী রাজ্যেই সম্ভব।