সন্দীপ মুখার্জি,কে.পি অ্যাস্ট্রোলজার, ৪ জুনঃ (Latest News) শনির প্রকোপ থেকে বাঁচতে হনুমান চালিশা পাঠ করবেন কেন? তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগ

এর আগের দিন আমরা জেনেছি একটি কাহিনী যেখানে বলা হয়েছিল শনির সাড়ে সাতি তে হনুমান চলিশা কেনো পরতে হয়।

আর আজ আপনাদের জানাবো সেই কাহিনীর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশটি –

দ্বিতীয় ভাগঃ

একবার হনুমানজী শ্রীরামের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই রাস্তা দিয়ে শনিদেব যাচ্ছিলেন। শনিদেবের একটু দুষ্টু বুদ্ধি চাপে। তিনি হনুমানজীকে বিরক্ত করতে লাগলেন। হনুমানজী তাকে বিরক্ত না করে শনিদেবকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু শনিদেব তা শুনে তাকে বিরক্ত করতেই থাকে। এরপর হনুমানজী তাকে তার ল্যাজ লম্বা করে ল্যাজের সঙ্গে বেঁধে আবার নিজের কাজে মগ্ন হয়ে পরেন আর শনিদেবের কথা ভুলে যান। এই সময় হনুমানজীকে তার কাজ করবার হেতু এদিক ওদিক উড়ে যেতে হয় এবং ল্যাজে বাঁধা শনিদেবকেও নিজের অজ্ঞাতেই নিয়ে যান। এই সময় শনিদেবের অনেক চোট আঘাত লেগেছিল। হনুমানজী তার কার্য শেষ করার পর শনিদেবের কথা মনে পড়ে। তখন হনুমানজী শনিদেবকে মুক্ত করেন। শনিদেব তার ভুল বুঝতে পারেন এবং কথা দেন যে তিনি কখনও রামজী আর হনুমানজীর কার্যে বাধার সৃষ্টি করবে না। আর তিনি এও বলেন রামজী ও হনুমানজীর ভক্তদের ওপর তার বিশেষ আশীর্বাদ থাকবে। এই ঘটনায় শনিদেবের অনেক চোট লেগেছিল। তিনি হনুমানজীর কাছ থেকে সর্ষের তেল চান। হনুমানজী তাকে সরর্ষের তেল দেন এবং তা মেখে শনিদেব সুস্থ হন। শনিদেব বলেন  যে ব্যক্তি শনিবার তাঁকে সর্ষের তেল অর্পিত করবেন তিনি তাকে বিশেষ আশীর্বাদ দেবেন।

তৃতীয় ভাগঃ

এই গল্পের তৃতীয় ভাগটি উপরের দুটি গল্প থেকে আলাদা।

রাবন পুত্র মেঘনাথ যখন জন্ম গ্রন্থন করেন তখন আকাশে শনিদেবের খুব প্রভাব চলছিল। শনিগ্রহের এই প্রভাবে মেঘনাথর আর অমরত্ব পাওয়া হয় নি। এই ঘটনায় রাবন খুব রেগে যান। রাবন ছিলেন অনেক বড় যোগী। যোগ বলে তিনি শনিদেবকে আটক করে রেখেছিলেন লঙ্কাতে। হনুমানজী যখন রামজীর দেওয়া আংটি সীতা মাতাকে পৌঁছে দিতে লঙ্কা পৌছন তখন দেখেন শনিদেব আটক রয়েছেন। উনি সব কথা শোনেন এবং শনিদেবকে সেখানে থেকে  মুক্ত করেন। শনিদেব কথা দেন তিনি রামচন্দ্র ও হনুমানজীর ভক্তদের বিশেষ আশীর্বাদ অর্পন করবেন। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর