ব্যুরো নিউজ,২০ মার্চ : ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে, যেখানে প্রকৃতি তার প্রাচীন সৌন্দর্য তুলে ধরেছে, সেই সৌন্দর্যের সাক্ষী হয়ে আছে সারান্ডা। চারপাশে ঘন জঙ্গল। তার মাঝ দিয়ে চলে পিচের রাস্তা। পথের বাঁকে যেখানে নিচে নামছে, সেখান থেকে উঠছে আরেকটি রাস্তা। মিনিট দু-তিন হাঁটলেই দেখা মিলবে একটি বাঁধানো চত্বর, যা রেলিং দিয়ে ঘেরা। সেখান থেকে নিচে তাকালে, পাহাড়ের ঢাল নামছে গভীর খাদে, আর নীচে জঙ্গলের এক অন্য রূপ। সামনে ঢেউয়ের মতো সাজানো ছোট পাহাড়। এই জায়গাকেই বলা হয় ‘সাতশো পাহাড়ের দেশ’, আর তা অবস্থিত ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে।
সরণ্ডা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, একটি মধুর গল্পও বয়ে আনে।
শুধু কি কাঁচা হলুদ খাচ্ছেন ? এর সাথে এই মশলা মেশালেই হবে অমৃত উপকারিতা
বড়বিল শহর থেকে বের হলেই শুরু হয় গহন জঙ্গল। রাস্তার দুই পাশে ছোট ছোট গ্রাম, আর লোকসংখ্যাও হাতে গোনা। গাড়ি চলতে চলতে পথের পাশে দেখা মেলে স্তূপাকার লৌহচূর্ণ, যেখান থেকে খনিজ মেলে। এগিয়ে যেতে যেতে পৌঁছানো যায় ঝিকিরা, যেখানে গাড়ি থামলে দেখতে পাওয়া যায় একটি ক্ষীণ জলস্রোত। প্রথমে হয়তো মনে হবে, এ যেন শহরের ব্যস্ততার মাঝ থেকে দূরে চলে আসা এক শান্তিপূর্ণ জায়গা!কিন্তু ভুল ভাঙে জলস্রোতের উৎস খুঁজতে মিনিট দশেক এগোলে। উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে ঝরে পড়ছে ঝিকিরা জলপ্রপাত, আর সূর্যের রশ্মিতে তার জল ভাঙছে রামধনুর সাতটি রঙে। চারপাশটা যেন পুরোপুরি লাল, আকাশ ছোঁয়া বৃক্ষের পাতা মিহি লোহাকণায় ঢাকা। জলের মধ্যে লোহা মেশানো, আর সেই শীতল জলে পা ডুবিয়ে ঘুরলে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। তবে খালি পায়ে নদীতে নেমে গেলে পা রক্তিম হয়ে যায়।
তেলেঙ্গানা বাজেট ২০২৫: হায়দ্রাবাদের উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার বাড়তি বরাদ্দ
বর্ষাকালে মেঘের আধিক্য এবং শীতকালে কুয়াশা না থাকলে, কিরিবুরুর ‘সানসেট পয়েন্ট’ থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য খুবই সুন্দর। আকাশে লাল আভা ছড়িয়ে পাহাড় আর অরণ্যের মধ্যে সূর্য ডুব দেয়। তারপরই আঁধার নেমে আসে, আর ঝুপসী অন্ধকারে আকাশ জ্বলে ওঠে হাজারো তারায়।কলকাতা থেকে কাকভোরে রওনা হলে, বিকেলবেলা এই সৌন্দর্যের সাক্ষী হওয়া যায়। সন্ধ্যায় আদিবাসী হাটে ঘুরে, মহুয়া-গুলগুলার স্বাদ নেওয়া যায়।
আইপিএল ২০২৫ কলকাতা নাইট রাইডার্স এর অধিনায়কত্ব কার হাতে যাচ্ছে জানুন
সরণ্ডা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, একটি মধুর গল্পও বয়ে আনে। এই গল্পের শুরু হয় বড়বিল স্টেশন থেকে, যেখানে শাল এবং সেগুন গাছের সমারোহ। মেঘাতুবুরু, কিরিবুরু, কারো নদী, ঝিকিরার ঝর্ণা, বোলানি খনি, থলকোবাদের ঘন অরণ্য, ভালু পাহাড়, জটেশ্বর শিব— এই সব কিছু নিয়েই সরণ্ডার গল্প তৈরি।