ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৩১ মেঃ (Latest News) বেশ কয়েক দিন ধরেই হলদিয়া জুড়ে কানাঘুষো খবর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু অনেকেই এই খবরকে নিছকই গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন৷ এবার সব জল্পনার অবসান। প্রায় সাত বছর একাকী জীবন কাটানোর পর দ্বিতীয় বার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন এককালীন হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের সম্রাট, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। মঙ্গলবার জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস (marriage) শুরু করেছেন তিনি। নতুন বৌয়ের সঙ্গে তাঁর ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। তবে স্ত্রী’র পরিচয় এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনেননি লক্ষণ।
যদিও এই মুহূর্তে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় বা বিয়ের ছবি প্রকাশ করেননি লক্ষণ শেঠ৷ তবে প্রাক্তন সাংসদ জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই এক বন্ধুর মাধ্যমে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর৷ কয়েকদিনের আলাপেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনেই৷ জানা গিয়েছে, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কলকাতার একটি নামী পাঁচ তারা হোটেলে উচ্চ পদে কর্মরত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, তমালিকা পণ্ডা শেঠের মৃত্যুর আগেই লক্ষণ শেঠকে ২০১৪-য় বহিষ্কার করা হয়েছিল সিপিএম থেকে ৷ তারপর তাঁকে বহিষ্কার করায় দল ছাড়েন তাঁর স্ত্রী তমালিকাও৷ তমালিকার মৃত্যুর পর তাঁর জন্মদিন পালন সহ স্ত্রীর মৃত্যুর স্মৃতিতে কবিতা সম্মেলন সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান পালন করেছেন লক্ষণ শেঠ৷ তারপর তিনি আলাদা রাজনৈতিক দলও তৈরি করেছিলেন ৷ এরপর বিজেপি-তে যোগ দেন। ২০১৮ সালে গেরুয়া শিবিরও তাঁকে বহিষ্কার করে। শেষে ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন। বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসে রয়েছেন তিনি।
১৯৭৯ সালে লক্ষ্মণ শেঠ বিয়ে করেছিলেন তমালিকা পান্ডাকে। এরপর থেকে প্রায় সর্বক্ষণ স্বামীর পাশে পাশেই থাকতেন তমালিকা। একসঙ্গে বাম রাজনীতিও করেছেন। লক্ষ্মণের বহু সুখ-দুঃখের সঙ্গীও ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে স্বামীকে সিপিএম বহিষ্কার করার পর দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তমালিকাও।
লক্ষণ শেঠ জানিয়েছেন, নববিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে খুব শিগগিরই হলদিয়ায় ফিরবেন তিনি৷ তবে বিয়ে গোপনে সারলেও খুব শিগগিরই কলকাতা এবং হলদিয়ায় বড় করেই বিয়ের রিসেপসন অনুষ্ঠান সারবেন নবদম্পতি৷ প্রথম স্ত্রী তমালিকার সঙ্গেও প্রেম করেই বিয়ে হয়েছিল লক্ষণ শেঠের ৷ এই প্রসঙ্গে, তিনি বলেন, “আমি বিয়ে করেছি। নিজের ইচ্ছায় করেছি। তবে এখনও রিসেপশনের তারিখ ঠিক করিনি। পরে সব জানাব।”
উল্লেখ্য, তমালিকা ছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা সুকুমার সেনগুপ্তর পালিতা কন্যা। যাঁর নামে এখন নিমতৌরিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের দফতর। লক্ষণ ও তমালিকা র দুই ছেলেও রয়েছেন। ২০১১ সালে বাম সরকার পতনের পর হলদিয়া পুরসভা নির্বাচনে জিতেছিল বামেরা, তমালিকা হন চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মৃত্যু হয় তমালিকার। এর পরপরই হলদিয়া ডেন্টাল কলেজ নিয়ে সিআইডি তদন্ত, লক্ষ্মণের গ্রেফতার এবং তারই ফলশ্রুতি : সিপিআইএম পার্টি থেকে লক্ষ্মণ শেঠকে বহিষ্কার।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, লক্ষ্মণ শেঠ নিজে নববধূর নাম না জানাতে চাইলেও , জানা যাচ্ছে তার নাম নীলাঞ্জনা দে। (EVM News)