ব্যুরো নিউজ, ৫ সেপ্টেম্বর: রাজ্যপালকে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার শ্রেষ্ঠ বিদূষক কটাক্ষ। উপাচার্য বিষয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপাল বোসকে কটাক্ষ  শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।

বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই রাজ্যপালকে একাধিক ভাবে বিঁধলেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “বেশ কিছু দিন ধরেই মনে হচ্ছিল রাজ্যের রাজপাল তিনি সুনির্দিষ্ট ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হয়ে এসেছে। আমাদের গোটা দেশের মধ্যে রাজ্যের যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবথেকে উঁচুর দিকে আছে তার সিস্টেমকে পুরো ধ্বংস করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্যপাল। গত কয়েকদিনে তার এই কার্যক্রম আমাদের এই ধারণাকে আরও সুস্পষ্ট করছে। তিনি কখনও নিজেই বলছেন তিনি উপাচার্য আবার তিনি কখনও আচার্য। তিনি উচ্চশিক্ষা দফতর ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করছেন”।

রাজভবনের নতুন বিজ্ঞপ্তি | শুরু বিতর্ক

“উচ্চশিক্ষা দফতরকে বাইপাস করে তিনি উপাচার্য নিয়োগ করে দিচ্ছেন। কখনও তিনি সেই উপাচার্যকে বিতাড়িত করে দিচ্ছেন। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলা অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে আমাদের প্রাচীনকালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তাঁর রাজ সভার শ্রেষ্ঠ বিদূষককে এখানকার রাজ্যপাল করে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যপালের এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, অর্ডিন্যান্স দ্বারা সুনির্দিষ্ট। ওয়েস্ট বেঙ্গল আইন ২০১৯ এটা দেখার সময় পাননি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ও পড়ে দেখার সময় পাননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন করে একচেটিয়া সৈরাতান্ত্রিক মনোভাব দেখাচ্ছেন। ও আইন লঙ্ঘন করে একের পর এক উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিনি বিভিন্ন উপাচার্যদের অপমান করতে চাইছেন একমাত্র কিছু তাঁর পেটুয়া উপাচার্য যাকে ঘিরে তিনি আছেন ও যারা নানা ছদ্মবেশে রাজভবনে ঢোকেন তাদের কথা তিনি শুনে চলছেন। পাশাপাশি এই কাজকর্মের থেকে তিনি বিরত থাকুন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন, আমাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে আসুন। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার শ্রেষ্ঠ বিদূষককেকের মত আচরণ করবেন না। এতে উচ্চ শিক্ষার গরিমা খুন্ন হচ্ছে”।

পাশাপাশি ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্যপাল ইউজিসির গাইডলাইন সংবিধান কিছুই মানছেন না। রাজ্য সরকারের আইনকে তিনি বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছেন। আমরা প্রতিদিন ফাইল পাঠাচ্ছি উনি গ্রাহ্য করছেন না”।

প্রসঙ্গত উচ্চশিক্ষা দফতর ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের সমাধান নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, “আদালত ও উচ্চ-আদালত ছাড়া সমাধান আমরা কিছু দেখতে পাচ্ছি না। আমরাতো ছাত্রদের বলতে পারিনা উপাচার্যদের ঘেরাও করুন। উনার কোনও দায়িত্ব না থাকতে পারে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব আছে। তাই আমরা শীর্ষ আদালতেরই দ্বারস্থ হয়েছি”। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর