ব্যুরো নিউজ, ১৫ ডিসেম্বর: ‘রাজনৈতিক দূষণে’ই খ্যান্ত নয়! হাতির করিডোরেও আবর্জনা
অবশেষে পরিষ্কার হল হাতিদের করিডোর। রেতির জঙ্গল থেকে মোরাঘাট যাওয়ার হাতিদের করিডোরে পড়ে রয়েছে, প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল, ফেলে দেওয়া খাবার নোংরা আবর্জনা।
মদনের অস্ত্রোপচারের পরেও উদ্বেগ কাটছে না!
গত ৬ ডিসেম্বর ৬ দিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ১১ ডিসেম্বর বানরহাটে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভায় যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছিলেন। আর সেখানেই অভিযোগ, বানরহাট মোরাঘাট এলাকায় কার্ত্তিক ওরাও হিন্দি কলেজের সামনে হাতিদের করিডোর। আর সভায় আগত মানুষজন হাতিদের চলাচলের করিডোরে ফেলে গিয়েছে আবর্জনা। মধ্যাহ্নভোজের পর অবশিষ্ট খাবার-দাবার, বোতল, প্যাকেট, পলিথিন ফেলে নোংরা করে গিয়েছে সভায় আসা সাধারণ মানুষ। আর তাতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশুপ্রেমীরা। দীর্ঘদিনের হাতিদের চলাচলের পথ এটি। আর চলার পথে পড়ে রয়েছে প্লাস্টিক, বোতল এই ধরনের সামগ্রী। তাদের পেটে সে সব গেলে তা অত্যন্ত খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
বুধবার সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সাফাইয়ের কাজ শুরু করা হয়। বানরহাট ব্লক প্রশাসন জানায়, তারা ইতিমধ্যেই সেই এলাকায় সাফাইয়ের কাজ শুরু করেছে।
তবে, পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্য অনিকেত চক্রবর্তী জানান, যেখানে বন্যপ্রানীদের আনাগোনা রয়েছে, সেখানে এই ভাবে নোংরা আবর্জনা ফেলে রাখা উচিৎ নয়। এই খবর দেখেই তারা আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়।
বানরহাট সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নিরঞ্জন বর্মণের দাবি, বুধবার থেকেই আমাদের কর্মীরা এই এলাকা পরিষ্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছিল, হয়তো কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
বানরহাট ব্লক তৃণমূল সভাপতি সাগর গুরুংয়েরও মুখে সেই একই বুলি। তিনি বলেন, প্রশাসনিক সভার পরে যে সমস্ত এলাকায় আবর্জনা জমেছে, আমরা সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতকে সে সব পরিষ্কার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম।
বৃহস্পতিবার এক পশুপ্রেমী সংস্থার তরফে জানানো হয়, তারাই ওই এলাকা পরিষ্কারের কাজ করছে। কিন্তু অন্যদিকে বানরহাট ব্লক প্রশাসনের দাবি, তারাই নাকি সেই এলাকা পরিষ্কারের কাজ করছে। ‘রাজনৈতিক দূষণের’ পাশাপাশি এই ঘটনা যে প্রাকৃতিক পরিবেশের আবহাওয়াকে দূষিত করছে, এমনকি এই দূষণ-কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল যে সিদ্ধহস্ত সে কথাই উঠছে পশুপ্রেমী মহল থেকে ওয়াকিবহল মহলে। ইভিএম নিউজ