অরূপ পাল, ১৬ ফ্রেব্রুয়ারিঃ তেত্রিশ বছর আগে ইডেনে দিল্লি কে হারিয়ে শেষ বার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা।সেই সময় বাংলার অধিনায়ক ছিলেন সম্বরন ব্যানাজী।তিন দশকেরও বেশী সময় পর ফের একবার ভারত জয়ের হাতছানি বাংলার সামনে। বাংলার রঞ্জি জয়ের সেই মধুর রাত ফের একবার ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি।
২০১৯-২০ মরসুমে রাজকোটে এই সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরেই ট্রফি জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল বাংলার।কিন্তু এইবার সেই হারের বদলা নিয়ে রঞ্জি ট্রফি ঘরে তুলতে দলকে মোক্ষম দাওয়াই দিলেন বাংলার কোচ লক্ষ্মী রতন শুক্লা। সেমিফাইনাল ম্যাচে মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলাকে জয় এনে দিতে স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিকেরর ওপর প্রয়োগ করা তাঁর ভোকাল টনিক সাঙ্ঘাতিক কাজ করেছিলো বলে মনে করছেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই। সেমিফাইনাল ম্যাচে পাঁচ উইকেট প্রদীপ্ত হয়তো ফাইনালে সৌরাষ্ট্রর বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে থাকবেন না।কারণ টা আর কিছুই নয়, ইডেনের সবুজ পিচে চার পেস বোলার নিয়ে মাঠে নামাই টার্গেট বাংলার কোচ লক্ষ্মী রতন শুক্লার।সে ক্ষেত্রে টিম গেমকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন তিনি। আকাশ দীপ, মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েলের সঙ্গে চতুর্থ পেসার হিসেবে দলে কামব্যাক হতে পারে আকাশ ঘটকের।
ওপেনার হিসেবে অভিমূন্য ঈশ্বরনের সঙ্গী হতে পারে সুমন্ত গুপ্তর। ফলে ফাইনালে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হতে পারে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলা ওপেনার করণলালকে। তবে বড় রান গড়ার লক্ষে গোটা বাংলা শিবির তাকিয়ে রয়েছে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি, অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামীর দিকে। তিন বছর আগে রাজকোটে পাটা উইকেটে ফাইনাল খেলা হলেও, এবার ইডেনের উইকেট সবুজ। তাই টসে জেতা যে বিগ ফ্যাক্টর হতে চলেছে তা মানছেন বাংলা অধিনায়ক মনোজ। ফাইনাল ম্যাচে প্রতিপক্ষ সৌরাষ্ট্র দলে পাচ্ছে না জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় চেতেশ্বর পূজারা ও রবীন্দ্র জাদেজা কে। একই ভাবে জাতীয় শিবিরে থাকার কারণে বাংলা পাচ্ছে না পেসার মহন্মদ সামিকে। বাংলার পাশাপাশি সৌরাষ্ট্রও ফের একবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার টার্গেট নিয়ে ইডেনের বাইশ গজে নামছে। মনোজ তিওয়ারির মতো সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকটও ট্রফি জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। এখন দেখার বিষয় তিন বছর আগে রাজকোট স্টেডিয়ামে সেই হারের বদলা নিয়ে রঞ্জি ট্রফিতে ফের চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কিনা মনোজ তিওয়ারির বাংলা দল।