ম্যালেরিয়া ভ্যাক্সিনের সাফল্যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি

ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৫ এপ্রিলঃ বিশ্বে প্রথম ম্যালেরিয়ার ভ্যাক্সিন সাফল্য পেল পরীক্ষায়। আশার আলো দেখাচ্ছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। বিশ্বে প্রায় ১০০ রকম ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট নিয়ে গবেষণা ও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে। তবে এই প্রথমবার অক্সফোর্ডের তৈরি ম্যালেরিয়ার টিকা আশার আলো দেখিয়েছে। ঘানায় এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (Clinical Trial) সফল হয়েছে। ঘানার সরকার এই টিকার প্রয়োগে ছাড়পত্রও দিয়েছে। সে দেশে ৩৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়স অবধি শিশুদের ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।

ম্যালেরিয়ার কোপে প্রতি বছর বিশ্বে চার লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষ করে আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া একপ্রকার মহামারীর চেহারা নিয়েছে। বহু শিশু মৃত্যু নাড়া দিয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসকদল ও বিজ্ঞানীমহলকে।

ম্যালেরিয়ার টিকা নিয়ে বহু বছর ধরেই গবেষণা চলছিল। এর আগে আফ্রিকার শিশুদের ওপর ‘মসকুইরিক্স’ (আরটিএস,এস ভ্যাকসিন)-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে ঘানা, কেনিয়া-সহ আফ্রিকার কয়েকটি প্রদেশে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছিল। শিশুদের শরীরেও এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়। তবে সাফল্যের হার বেশি ছিল না।

তবে জানা যাক কি ভ্যাক্সিন বানিয়েছে অক্সফোর্ড?

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাক্সিন বিশেষজ্ঞ আদ্রিয়ান হিল হলেন এই টিকার আবিষ্কারক। তিনি জানিয়েছেন, এই ভ্যাক্সিনের নাম আর২১/ ম্যাট্রিক-এম (R21/Matrik-M)। তবে তিনি বলেছেন, আরও বেশি মানুষকে টিকা দিলেই এর কার্যকারিতা  আরও ভালো করে বোঝা যাবে।

আমরা অনেকেই জানি, স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা কামড়ালে তার লালার সঙ্গে আমাদের শরীরে ঢোকে ম্যালিরিয়ার জীবাণু।  জানা যায়, ম্যালেরিয়ার মোট বাহক পরজীবী চার প্রকার। এরমধ্যে প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরামের আক্রমণেই হয় প্রাণঘাতী ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া। আর এই ভ্যাক্সিনের কাজ হল শরীরের প্রোটিনকে আক্রমণ করে নষ্ট করে দেওয়া। ম্যালেরিয়ার এই নতুন ভ্যাক্সিন শরীরের ইমিউন কোষগুলিকে  সক্রিয় করে তোলে। পরে এই ইমিউন কোষ বা বি-কোষ রক্তে  অ্যান্টিবডি তৈরি করে  ম্যালেরিয়ার জীবাণুকে আটকানোর চেষ্টা করে, অন্যদিকে টি-কোষ সরাসরি ম্যালেরিয়ার জীবাণুর প্রোটিনকে চ্যালেঞ্জ করে তাকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে। প্রোটিনের  ৩১১ থেকে ৩৩৩ নম্বর অ্যামাইনো অ্যাসিডকে টার্গেট করে ভ্যাকসিন। জীবাণুকে পুরোপুরি নির্মূল করে দিতে ভ্যাক্সিনের ডোজ কীভাবে বাড়ানো যায় সে নিয়ে  বিষদে  গবেষণা চলছে। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর