শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে নিয়ে এবার নতুন জল্পনা। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ব্যাঙ্কশাল আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।সেই চার্জশিটে নাম ছিল জনৈক মিস্টার ঘোষ বলে একজনের। ১৫০ পৃষ্ঠার ওই চার্জশিটের অনেক জায়গায় এই মিস্টার ঘোষের নামের উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও ছিল। সেখানে এই মিস্টার ঘোষ সম্পর্কে অভিযোগে বলা হয়েছিল, মিস্টার ঘোষ নামের ওই ব্যক্তি অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সহ পাস করিয়ে দেওয়া থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বহু টাকা তুলেছেন। আর সেই মিস্টার ঘোষকে নিয়ে রহস্য,খটকা ছিলই,যে কে এই মিস্টার ঘোষ! কিন্তু শনিবার কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারের ঘটনা এই ‘ঘোষ’ রহস্যের সমাধান করে দিলো, প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে এবার কী কুন্তলের গ্রেফতার অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে ? কারণ দীর্ঘসূত্রিতায় ভুগতে থাকা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে শাসক-বিরোধী দলের চাপান উতরের পর্ব চলছেই। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে থাকার ফলে চাকরিপ্রার্থীদের জীবন থেকে একেকটি করে দিন চলে যাচ্ছে। যা তাঁদের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রণার বিষয়। শাসক দলের একের পর এক নেতা,মন্ত্রী,বিধায়ক,শিক্ষা প্রশাসনে থাকা মাথাদের জেলে যেতে হচ্ছে, টাকার পাহাড়ের ছবি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তাতেও কান টানলে মাথা আসছেনা। আর চাকরির সুরাহাও হচ্ছেনা। বিখ্যাত গানের কলির মতো তাই বলতে হচ্ছে, ‘কতটা পথ পেরোলে তবে’ মাথার হদিশ পাওয়া যায় !