ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৫ জুনঃ (Latest News) প্রবাদ আছে, ‘কু- সন্তান যদিও হয়, কু-মাতা কভু নয়’। কিন্তু একথা সব ক্ষেত্রেই সত্যি নয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘটে যাওয়া এক পাশবিক ঘটনার কথা শুনলে আপনারও তাই মনে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই নবজাতককে হত্যা করে বছরের পর বছর ধরে তাদের লাশ ফ্রিজে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক মা-এর বিরুদ্ধে।
গয়েঙ্গি নাম্বু (Gyeonggi Nambu) প্রাদেশিক পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে মহিলার বয়স ৩০-এর কোঠায়। তিনি নিজের দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।
ঘটনাটি এইরকম : এক দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ১২, ১০ ও ৮ বছর। ওই দম্পতি আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল নন। এরপর যখন তাদের চতুর্থ সন্তান জন্ম নেয়, তখনই এই ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই মহিলা । হত্যার সময় নবজাতকের বয়স ছিল মাত্র একদিন।
২০১৮ সালের নভেম্বরে একটি হাসপাতালে জন্ম হয় সেই শিশুর। পুলিশ অভিযোগ করেছে যে জন্ম দেওয়ার পরদিনই সেই কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল মা, এবং তার দেহ তার বাড়ির ফ্রিজারে রেখেছিল। এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আরো একটি সন্তানের জন্ম দেন এই মহিলা। এবারে পুত্র সন্তান। কিন্তু জন্মের পরের দিনই সেই সন্তানকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ঐ মহিলা। এবং তার দেহও রেখে দিয়েছিলেন ফ্রিজারে।
এই প্রসঙ্গে তার স্বামী বলেছেন যে তাকে বলা হয়েছিল যে দুটি শিশুর গর্ভপাত করা হয়েছে। এই বছরের মে মাসে, যখন দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের বোর্ড অফ অডিট অ্যান্ড ইন্সপেকশন দেখতে পায় যে শিশুর জন্ম কখনই আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়নি, যদিও হাসপাতালে তাদের জন্মের রেকর্ড ছিল।
তারপর সেই বোর্ড ব্যাপারটি জানায় স্থানীয় পৌর প্রশাসনকে। এরপর পুলিশ ওই দম্পতির বাড়িতে গেলে ওই মহিলা পুলিশকে তল্লাশি করতে দিতে অস্বীকার করে। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ বাহিনী জোর করেই তল্লাশি চালায়।
গত ২১ শে জুন। পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে মহিলা ওই মহিলা নিজের দুই সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়।
এবার বিচারের প্রতীক্ষা। তবে বিচারের রায় মোটামুটি বুঝতে পারছেন সকলেই। হয় ওই মায়ের মৃত্যুদণ্ড হবে, নয়তো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। ভয়ংকর অমানবিক এই ঘটনা চমকে দিয়েছে দুনিয়াকে। (EVM News)