রাজীব ঘোষ, ২৫ অক্টোবর: মাসে ৫ হাজার টাকা ঢুকবে অ্যাকাউন্টে! হাতছাড়া করবেন না এই সুযোগ
সাধারণ কোনো চাকরি বা ছোটখাটো ব্যবসা যাই করুন না কেন, কর্মজীবন চলাকালীন ভবিষ্যতের অবসর জীবনের কথা চিন্তা করতে হয়। আর সেই সূত্রেই একটু একটু করে সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করতে হয়। যাতে অবসর নিয়ে বার্ধক্যের সময়ে দৈনন্দিন জীবন চালাতে গিয়ে টাকার অভাবের সম্মুখীন না হতে হয়।
স্মার্ট বিনিয়োগের নয়া মাধ্যম,সেক্টর মিউচুয়াল ফান্ড
যারা সরকারি চাকরি করেন বা বৃহৎ মাপের ব্যবসায়ী, তাদের কথা একটু আলাদা, যদিও এই মুহূর্তে সমস্ত সরকারি চাকরির পেনশন সিস্টেম প্রায় নেই বললেই চলে। একলপ্তে থোক টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। তাও তারা অন্তত একটা মোটা অংকের টাকা জীবনে বার্ধক্যের সময়ে পেয়ে থাকেন। কিন্তু যারা সাধারণ, নিম্ন মধ্যবিত্ত, গরিব শ্রেণীর দেশবাসী রয়েছেন, সাধারণ কোনো সংস্থায় ছোটখাটো চাকরি বা কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসা করে দৈনন্দিন জীবন প্রতিপালন করেন, তাদের কর্মজীবনের পর অবসর নিলে বৃদ্ধ বয়সে কিভাবে সংসার চলবে বা নিজের জীবন কিভাবে চালাবেন, সেই দিকে নজর দিয়েই সরকারের তরফে ২০১৫ সালে অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension Yojana) নামে একটি স্কিম চালু করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষকে প্রতিমাসে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পেনশন দেওয়ার জন্য সুযোগ করে দিয়েছে। অর্থাৎ এই অটল পেনশন যোজনায় যদি কর্মজীবন থেকেই একটু একটু করে সঞ্চয় করতে থাকেন, তাহলে বার্ধক্যের সময়ে প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারেন। অন্ততপক্ষে একটু হলেও সূরাহা হবে।
নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এই অটল পেনশন যোজনা তৈরি করেছে। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে যারা করদাতা নন, তারা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি ১৮ বছর বয়স থেকে শুরু করেন, তাহলে প্রতি মাসে অন্তত ৪২ টাকা বিনিয়োগ করেই ৬০ বছর বয়সের পর পেনশন হিসেবে ১ হাজার টাকা করে পাবেন।
এবার ক্রমান্বয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়লে পেনশনের পরিমাণও বার্ধক্যের সময়ে বাড়বে। দেখা যাচ্ছে, যদি প্রতি মাসে ১৬৮ টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে ৪ হাজার টাকা করে পরবর্তীকালে পেনশন পাবেন। আর ২১০ টাকা করে বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন।
এই মুহূর্তে এই প্রকল্পে দেশজুড়ে ৫ কোটির বেশি সুবিধাভোগী রয়েছেন। যদি কোনো ব্যক্তি ৬০ বছর বয়সের আগেই মারা যান তাহলে সেক্ষেত্রে তার স্ত্রী বা স্বামী পেনশনের সুবিধা পাবেন। তাছাড়া সেখানে নমিনি মোটা অংকের টাকার তহবিলের সুবিধা পাবেন।
যেকোনো ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে এই অটল পেনশন যোজনা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। আবেদনপত্র পূরণ করে আধার নম্বর এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে ব্যাংকের বিবরণ জমা দিতে হবে। যাতে পেনশন অটোমেটিক্যালি সেই অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে জমা পড়তে পারে। ইভিএম নিউজ