রত্না দাস, ২৮ মেঃ (Latest News) বলুন তো কোন দেশে মাটি নেই? আপনারা ভাবছেন সন্দেশ তো? কিন্তু না এমন দেশও আছে পৃথিবীতে যেখানে সত্যিই মাটি নেই। পুরোটাই ইস্পাতের তৈরি দেশ। দেশের নাম প্রিন্সিপালিটি অফ সিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের উত্তর সাগরে এই দেশটির অবস্থান। এখানে একটি রাজধানীও আছে। নাম HM Fort Roughs। দেশটি সাগরের উপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। মাটি থেকে অনেকটা অপরে বড় বড় দুটি ইস্পাতের পাইপ দিয়ে তৈরি দেশটি। এই দেশে যেতে হলে আপনাকে ইংল্যান্ডের উত্তর উপকূল থেকে ১০ কিমি সাগরের গভীরে যেতে হবে। সেখানে আছে একটি মাত্র ঘর আর সেই ঘড়টাই হল দেশের রাজপ্রাসাদ। আর রাজপ্রাসাদের ওপর উড়ছে দেশের পতাকা। সর্বোপরি দেশটির আয়তন ৫৫০ বর্গকিলোমিটার। দেশটির এটি আসলে হয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর মাত্র। ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইংল্যান্ডের উপকুলভাগে এই সমুদ্র দুর্গটি বানিয়েছিল সেনারা যাতে ইংল্যান্ড। আক্রমণ করতে না পারে। বানানো হল মিউসেল সি ফোর্ট।
এখান থেকে শত্রু পক্ষের যুদ্ধজাহাজ গুলির উপর নজরদারি করা হত। পরবর্তী সময় হয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
১৯৬৭ সালের ২ রা সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক Major Paddz Roy Bates এবং তাঁর পরিবার এই জায়গাটির স্বত্বাধিকার হন।
এই দেশের মোট জনসংখ্যা ৩ জন। রয় বেটস হলেন ‘প্রিন্স রয়’ তাঁর স্ত্রী হলেন ‘ প্রিন্সেস জোয়ান’ এবং তাদের পুত্র প্রিন্স মাইকেল। সিল্যান্দের ক্রীড়া বর্গাক্রম কোন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থার দ্বারা স্বীকৃত নয়। এবং এই দেশের জনসংখ্যা যে কোনও একটি দল গঠনের পক্ষে অপর্যাপ্ত।
দেশটিতে ইংরেজ ভাষা প্রচলিত এবং মুদ্রার নাম সেয়াল্যান্ড ডলার। তবে বাইরের কোন দেশে এই মুদ্রা চলেনা। এখানকার বাসিন্দাদের এটিকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে দাবি করলেও বিশ্বের কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্র এটিকে রাষ্ট্র হিসাবে গণ্য করেনি।
সময়টি ছিল ২০০৬ সালের ২৩ জুন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। এতে সিল্যান্ডের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ইংল্যান্ডের উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে সিল্যান্ডকে মেরামত করা হলে ২০০৬ সালের নভেম্বরে তারা আবার সিল্যান্ডে ফিরে যান। (EVM News)