ব্যুরো নিউজ, ৪ নভেম্বর: মমতার বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে রাজনীতি
মমতা ব্যানার্জি আগামী ৯ ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার আলিপুর জেল মিউজিয়ামে বিজয়া সম্মিলনীতে শিল্পপতি ও সেলিব্রিটিদের পাশাপাশি বিরোধী দলের কিছু নেতাকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রন জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজকে থেকে নিগমের প্রতিনিধিরা সেই আমন্ত্রন পত্র পৌঁছানোর কাজ শুরু করেছে।
তবে এই আমন্ত্রন জানানো নিয়ে মমতা ব্যানার্জি যে রাজনীতি করছেন তার একটি অভিযোগ উঠলো। বিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের তালিকায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম না থাকা নিয়ে। যদিও নবান্নের তরফ থেকে সাফাই দেওয়া হয়েছে যে, এইটা একান্তই মমতা ব্যানার্জির ব্যাক্তিগত কর্মসূচি। সেইক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রনে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নেপাল| মৃত বেড়ে হোল ১৩২
উল্টো দিকে যখন এই আমন্ত্রনের তালিকায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন সভাপতি দিলিপ ঘোষের নাম দেখা গেলো তখন রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে যে মমতা ব্যানার্জি কি তাহলে এই আমন্ত্রন পত্রের মাধ্যমে বিজেপির মধ্যে বিভাজনের রাজনিতিকে উস্কে দিয়ে তাদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছেন? এই আমন্ত্রনের তালিকায় বিমান বোসের নাম থাকলেও অধির চৌধুরীর নাম বাদ গেছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে তৃনমূল কংগ্রেসের এই মুহূর্তে সরকার ও মমতা ব্যানার্জির কাছে বড় মাথা ব্যাথার কারন সেইটা নিমন্ত্রনের তালিকা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এখন দেখার বিরোধী দলের যে সমস্ত নেতারা নিমন্ত্রন পেলেন তারা সৌজন্যতার দোহাই দিয়ে মমতার পাতা ফাঁদে পা দেয় কিনা রাজনৈতিক মহলে সেইটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। ইভিএম নিউজ