ব্যুরো নিউজ, ১১ নভেম্বর: মঙ্গলকোটে পীরের মাজারে চাদর চাপিয়ে সূচনা কালিপুজোর
পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে একদা মুঘল সম্রাট শাহজাহান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির গড়ে গেছেন, তার শিক্ষা ও দীক্ষার গুরু আব্দুল হামিদ দানেশখান্দকে ( হামিদ বাঙালি) নিয়ে, সেই সম্প্রীতির মেলবন্ধন এখনও আগের মতই অক্ষত। এখানে পীরের মাজারে চাদর চাপিয়ে সূচনা হয় কালিপুজোর।
কালীপুজোয় যাত্রীদের দেওয়া রেলের অতিরিক্ত লোকাল ট্রেনের উপহার
শুক্রবার মঙ্গলকোটের পুরাতন থানায় পীর বাবার মাজারে চাদর চাপিয়ে মঙ্গলকোট থানার কালীপুজোর শুভ সূচনা করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস, মহকুমা পুলিশ অফিসার কৌশিক বসাক, আইসি পিন্টু মুখার্জি সহ আরও অনেকে। অবিভক্ত বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পীর পাঞ্জাতন বাবার মাজারে চাদর চাপিয়ে কালীপুজোর শুভ সূচনার রীতি শতাধিক বছরের পুরনো। আজও সেই রীতি অব্যাহত রয়েছে সমানভাবে।
এদিন কালীপুজোর শুভ সূচনা করে এলাকার ২০০০ দুস্থ মানুষকে মঙ্গলকোট থানার পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়। কথিত আছে, আঠারো অলি খ্যাত মঙ্গলকোটে সূদুর পারস্য থেকে পায়ে হেঁটে এই মঙ্গলকোটে এসেছিলেন সুফি আব্দুল হামিদ দানেশখন্দ। পরবর্তীতে আফগান ও মুঘলের যুদ্ধের সময় বর্ধমান মহারাজার মহলে এসেছিলেন সম্রাট শাহজাহান। সেসময় সম্রাট শাহজাহান মঙ্গলকোটে সুফি আব্দুল হামিদ দানেশখন্দের সান্নিধ্যে আসেন।দীক্ষাও নেন সেইসময়। পরবর্তীতে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে সুদূর দিল্লি থেকে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশা পায়ে হেঁটে আসেন এই মঙ্গলকোটে।
আব্দুল হামিদ দানেশখন্দ নিজে ছিলেন একজন পারস্যের বাসিন্দা। মুঘল আমলের শিক্ষা ও দীক্ষা গুরু হলেও বাংলা ও বাঙালিকে ভালোবেসে তিনি নিজের পরিচয় বহন করতেন ‘বাঙালি’ হিসাবে । তাই তো এই সুফি কে আপামর বাঙালিরা চেনেন ‘হামিদ বাঙালি’ হিসাবে। এহেন মঙ্গলকোটে থানার কালিপুজো সূচনা ঘটে পীরের মাজারে চাদর চাপিয়ে। ইভিএম নিউজ