ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১০ মার্চঃ জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক বহু গ্রামে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। বারবার রাস্তার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসীরা। এবার সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী জেলা প্রশাসন। শুক্রবার জেলাবাসীর জন্য সুখবর শোনালেন জেলাশাসক। ইতিমধ্যেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় জেলা-জুড়ে শুরু হচ্ছে রাস্তার কাজ। এবার পথশ্রী প্রকল্পে ৮২ কোটি টাকা অর্থ ব্যায়ে সমগ্র মালদা জেলা জুড়ে শুরু হচ্ছে রাস্তার কাজ।
মালদহ জেলায় বেহাল গ্রামীণ রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ বহুদিন ধরেই রয়েছে। সেই ক্ষোভ ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতেও দেখা গিয়েছিলো। পুরাতন মালদহের যাত্রাডাঙ্গা থেকে ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম পর্যন্ত জেলার একাধিক নেতা,মন্ত্রি এবং দিদির দূতদের গ্রামে ঢোকা একদম নিষিদ্ধ ছিল। ওই এলাকার মানুষের একটাই দাবী ছিল বেহাল রাস্তার সংস্কার। সেই দাবির জন্য কোথাও দেওয়াল লিখন, কোথাও পোস্টার লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখা গেছে। এবার ভোটের আগে সেই এলাকারি রাস্তা সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন মালদার জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া।
সূত্রের খবর, মালদার হবিবপুর, বামনগোলা, পুরাতন মালদা, গাজোল, চাঁচোল, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর সহ একাধিক ব্লকে ইতিমধ্যেই টেন্ডার ধরা হয়ে গিয়েছে। জেলার মোট ২৮৯টি গ্রামীণ রাস্তা নতুন করে তৈরি এবং সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলাশাসক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত আপলোড করা হবে পোর্টালে। জেলার প্রত্যেকটি ব্লকেই হবে রাস্তার কাজ। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ নম্বর ব্লকে বেশ কয়েকটি গ্রামে রাস্তা নিয়ে প্রচুর সমস্যা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই রাস্তাগুলির কাজ খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে। জেলাশাসকের এই ঘোষণায় খুশি হরিশ্চন্দ্রপুরবাসী তথা সমগ্র মালদা জেলবাসী।
জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘মূলত যে সব জায়গায় রাস্তার অনেক সমস্যা রয়েছে। খুব দ্রুত এই কাজ শুরু হবে। এরজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং টেন্ডার নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই জেলায় এই বিপুল পরিমাণ রাস্তা তৈরি ও সংস্কারের কাজ করবে জেলা পরিষদ এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতিগুলি। যেসব রাস্তা তুলনামুলকভাবে বড় এবং একাধিক ব্লক ছুঁয়ে গিয়েছে সেখানে রাস্তা তৈরির দায়িত্ব নেবে মালদহ জেলা পরিষদ’।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন গ্রামে রাস্তার এমন হাল ঢুকতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স। মানুষজন হঠাৎ অসুস্থ হলে প্রচন্ড সমস্যায় পড়তে হয় এলাকাবাসীকে। কিন্তু রাস্তার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা সেই সব কাজ করতে পারে না। দিনের পর দিন বেহাল দশায় পড়ে থাকে রাস্তা। এলাকার মানুষ মনে করছেন পথশ্রী প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।