ব্যুরো নিউজ, ২ অক্টোবর: বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাসপাতাল চত্বর | ভোগান্তিতে শিকার রোগী-সহ পরিবার
এক টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাসপাতাল চত্বর, এই পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়দের।
রাজ্যে হানা দিয়েছে ডেঙ্গি। প্রতিদিনই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বহু মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে অনেকের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গি প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ড্রেন ও নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণ ২৪পরগনা উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরের ওপর নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। এরই প্রভাবে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
টানা বৃষ্টির জেরে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বর জলমগ্ন। এর ফলে সমস্যায় পরতে হচ্ছে রোগী থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়দের। কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এমার্জেন্সি গেটের কাছে কার্যত জল থৈথৈ অবস্থা। অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নামাতে ও কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
এই বিষয় এক রোগী সুকুমার বাগ জানান, হাসপাতালের সামনে কার্যতো জল থৈথৈ। জল পেরিয়েই আমাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। হাসপাতালের পাশে নিকাশী নালা রয়েছে তবে এই নিকাশী নালা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। আর এই কারণে নিকাশী নালা উপছে ড্রেনের নোংরা জল হাসপাতালের গেটের সামনে চলে এসেছে। এই নোংরা জল ঘেঁটে আমাদের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এর ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও হাসপাতাল চত্বরের আশেপাশে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। যা মশার আঁতুঘর।
দুর্যোগের মধ্যে নদীর চড়ায় আটকে যাত্রীবোঝাই ভেসেল | আতঙ্কিত যাত্রীরা
এক রোগীর আত্মীয় শেখ রসোআলী বলেন, হাসপাতালের চারিদিকে নোংরা আবর্জনা। এতে হাসপাতাল চত্বরে মশার উপদ্রব বাড়ছে। এখানকার নিকাশী নালা দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি, নিকাশি নালায় জমা জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। নিকাশি নালার বেহাল অবস্থার কারণে অল্প একটু বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতাল চত্বরে জমা জলের কারণে অসুবিধায় পড়তে হয় রোগী থেকে শুরু করে রোগী আত্মীয়দের। কিন্তু এরপরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল আমরা দেখতে পাই না।
যদিও এই বিষয়ে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু রায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। কার্যত সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে যে হাসপাতালকে অন্যতম ভরসা হিসাবে বেঁছে নিয়েছে, সেই হাসপাতালের চরম অব্যবস্থা ছবি দেখে চিন্তিত সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার মানুষজনেরা। ইভিএম নিউজ
