ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৪ মার্চঃ বিয়েবাড়িতে কবজি ডুবিয়ে খেয়ে বদনাম করা বাঙালির জন্মগত অধিকার। মাংস সিদ্ধ কম হয়েছিল, মাছটা আর একটু সিদ্ধ হলে ভালো হতো আরও কত কি…… গুন যেমন গায়, আবার বদনাম করতেও ছাড়ে না বাঙালি জাতি। তবে এই ঘটনাটা পুরোই আলাদা। বিয়েবাড়িতে মাংস কম হওয়া নিয়ে দু’ পক্ষের মারামারিতে প্রাণ হারালেন বরের বাবার। শুনে অবাক হচ্ছেন তো? এমনই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর জলঢাকায় একটি বিয়ে বাড়িতে। বিয়েবাড়িতে মাংস কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরম অশান্তির জেরে বরপক্ষ বরাম কনেপক্ষের লড়াইয়ে প্রাণ হারান বরের বাবা। পুলিশ তদন্তে নেমে কনের বাবা আনারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ও স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। এবং তদন্তে নামেন জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবীর।
বিয়ের মণ্ডল সেজে গিয়েছে। ঘড়িতে তখন ৮ টা। বরপক্ষও এসে গিয়েছে। বিয়ের সবরকম নিয়ম অনুযায়ী কাবুলনামাও পাড়ানো হবে। বিয়ের আনন্দে সবাই তখন মত্ত। ঠিক সময় মতো বিয়ে সম্পন্ন হয় জলঢাকা পৌর এলাকার আনারুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল আক্তারের ও নুর মহম্মদের ছেলে আলির। এবার সবাইয়ের খেতে বসার পালা। খেতেও বসল সব অতিথিরা ।
বিয়েতে আমন্ত্রিতের সংখ্যা প্রায় আড়াইশো। ঠিক সেই সময় যা ঘটার ঠিক তাই ঘটলো। খেতে বসে মাংস কম পরায় কথা কাটাকাটিও হয় দুই পক্ষের মধ্যে। তারপর হাতাহাতিতেও পৌঁছায় ঘটনাটি। আর তার জেরেই গুরুতর আহত হন বরের বাবা। পরে তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে জলঢাকা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ে সম্পন্ন হতেই বর কনেকে নিয়ে চলে যায়। পরে খেতে বসে বরের বাবা অভিযোগ , মাংস কম পড়েছিল। পাশাপাশি আরও জানান আপ্যায়নেও প্রচুর ঘাটতি ছিল। একথা বলতেই বরপক্ষের সাথে কনেপক্ষের বচসা শুরু হয় এবং পরে হাতাহাতি পর্যন্ত হয় । বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে। পাশাপাশি কনের বাবা সহ স্থানীয় ব্যক্তিতিকে আটক করে জলঢাকা থানার পুলিশ।