সন্দীপ মুখার্জি,কে.পি অ্যাস্টোলজার, ১৩ জুনঃ (Latest News) হিন্দু ধর্মে যে ৮ চিরঞ্জীবীর কথা বলা হয়, তার মধ্যে অন্তম হলেন বজরংবলী। তিনি কলিযুগের দেবতা। মনে করা হয় আজও পৃথিবীতে বজরংবলী জীবিত রয়েছেন। এমনকি যেখানে যেখানে রামচরিতমানস, সুন্দরকাণ্ড পাঠ বা রামের পুজো করা হয়, সেখানে বজরংবলী কোনও না-কোনও রূপে উপস্থিত থাকেন। ব্যক্তি নিজের ভয় দূর করতে সাহস ও শক্তি অর্জনের জন্য বজরংবলীর পুজো করে থাকেন। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে হনুমানকে অধিক বলশালী দেবতার আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে বজরংবলীর সম্পর্কে বেশ কিছু কথা আমরা এখনও জানি না। বজরংবলীর সঙ্গে জড়িত ১০টি চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরা হল এখানে
এর আগের সপ্তাহে বজরংবালীর পাঁচ টি পর্ব আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার বাকি পর্ব গুলো তুলে ধরা হল।

আজ ষষ্ট পর্ব থেকে দশম পর্ব আর্থাৎ অন্তিম পর্বের বিস্তারিত জানান হল-

ষষ্ঠ পর্বঃ

বজরংবলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন রাম- একদা নারদের কথায় বজরংবলী বিশ্বামিত্র ছাড়া সমস্ত ঋষিমুনিদের আমন্ত্রণ করেন। বিশ্বামিত্রও একদা রাজা ছিলেন, এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হন। তখন তিনি রামকে বজরংবলীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করার কথা বলেন। বিশ্বামিত্র রামের গুরু ছিলেন। তাই তিনি শেষ পর্যন্ত এই আদেশ মেনে নেন। বজরংবলীর ওপর তীর বর্ষণ করেন রাম। নিজের দিকে তীর আসতে দেখে রাম নাম জপ করেন বজরংবলী। তখন সমস্ত বাণ ফিরে যায়। তখন রাম ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করেন। কিন্তু এই অস্ত্রও ধ্যানমগ্ন বজরংবলীকে প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসে। এর পরই বজরংবলীর মৃত্যু দণ্ডের চিন্তাভাবনা ত্যাগ করেন রাম।

সপ্তম পর্বঃ

বাল্মীকি ছাড়াও রামায়ণ রচনা করেছিলেন হনুমান- লঙ্কা বিজয় ও রামের রাজ্যাভিষেকের পর বজরংবলী হিমালয়ে চলে যান। হিমালয়ের দেওয়ালে নিজের নখ দিয়ে রামের কাহিনি লেখেন। বাল্মিকী যখন নিজের লেখা রামায়ণ বজরংবলীকে দেখাতে যান, তখন হনুমানের লেখা রাম কাহিনি দেখে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ বাল্মিকীর মতে বজরংবলীর রামায়ণ তাঁর লেখা রামায়ণ থেকেও বেশি ভালো। বজরংবলীর লেখা এই কাহিনি হনুমদ রামায়ণ নামে পরিচিত। তবে বাল্মিকী হতাশা দেখে তিনি এই রামায়ণ মুছে ফেলেন।

অষ্টম পর্বঃ

ভাই ছিলেন ভীম ও বজরংবলী- পবনদেবের কৃপায় হনুমানের জন্ম হয়। এর পাশাপাশি ভীমের জন্ম হয়েছিল কুন্তীকে দেওয়া পবনপুত্রের আশীর্বাদে। তাই ভীম ও বজরংবলী একই পিতার পুত্র ও পরস্পরের ভাই।

নবম পর্বঃ

রামের শরীর ত্যাগ করার সময়ে অনুপস্থিত ছিলেন বজরংবলী- রাম মানব শরীর ত্যাগ করে বৈকুণ্ঠে প্রস্থান করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তিনি জানতেন যে তাঁৎ পরমভক্ত বজরংবলী তাঁকে ধরাধাম ত্যাগ করতে দেবেন না। তখন রাম নিজের আংটি পাতাল লোকে ফেলে দেন এবং বজরংবলীকে তা খুঁজে আনার আদেশ দেন। তখন পাতাল লোকে আংটি খুঁজতে যান বজরংবলী এবং রাম সরযূ নদীতে ডুব দিয়ে নিজের মনুষ্যরূপী শরীর ত্যাগ করেন।

দশম পর্বঃ

সীতার উপহার অস্বীকার করেন বজরংবলী- রামের রাজ্যাভিষেকের পর সকলকে উপহার দেন সীতা। তখন তিনি বজরংবলীকে এক সুন্দর মুক্তোর হার দেন। কিন্তু বজরংবলী সেই হারের প্রতিটি মুক্তো ভেঙে তাতে রামের ছবির খোঁজ করতে থাকেন। তাতে রামের ছবি না-পাওয়ায় সেই উপহার অস্বীকার করেন এবং জানান, যে বস্তুতে রাম নেই, তা তাঁর কাছে অস্বীকার্য। তার পর তিনি নিজের বুক চিড়ে সকলকে দেখান যে তাঁর মনে রাম-সীতা বাস করেন। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর