ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১০ ফেব্রুয়ারিঃ জরিমানার ভয়ে বই ফেরত দিলেন ৫৬ বছর পর! লন্ডনের এক গ্রন্থাগার থেকে তিনি ১৯৬৬ সালে একটি বই নেন। তার জীবনের ধারের খাতায় আজ অব্ধি কোনও লাল কালির দাগ পড়েনি। কিন্তু ১৪ বছর বয়সের সেই ধার নেওয়ার জন্য একটা লাল দাগ অচিরেই রয়ে গিয়েছিল তার জীবনে। কিন্তু তার মনে ছিল ওই ক্ষতিপূরণের ভয়।
সত্তর বছর বয়সের লেসলি হ্যারিসন বলেন, শৈশব থেকেই বই পড়তে তিনি ভালবাসতেন। তাই বরাবরই গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে পড়তেন। জীবনে কখনও ধার নিয়ে তা ফেরত করেননি এমন হয়নি। বই নিলেও সেটি যথা সময়ে ফেরত দিয়েছেন তিনি। তার এই নিয়মের ব্যাতিক্রম ঘটে শুধুমাত্র একবার। জার্মান ভাসা শেখার জন্য ‘হুইটলি বে গ্রামার স্কুলে’-এ ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ১৪ বছর ছিল। ওই স্কুলে পড়ার সময় তিনি একটি ব গ্রন্থাগার থেকে নেন। তার ঠিক কিছুদিন পর বাড়ি বদল করে তাঁর পরিবার, তাই বইটি গ্রন্থাগারে ফেরত দিতে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি।
পরে তিনি সেই বইয়ের একটি লেখা দেখতে পান। যার ভয়ে তিনি আর বইটি ফেরত দিতে যাননি। কি লেখা ছিল সেই বইয়ের পিছনে? তিনি বলেন, সেই বইয়ের পিছনে লেখা ছিল ২১ দিনের মধ্যে গ্রন্থাগারে বই ফেরত না দিলে, জরিমানা বাবদ প্রতি সপ্তাহে দিতে হবে তিন পেন্স। তাই বড় অঙ্কের জরিমানার ভয়ে নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন বইটি।
এরপর হঠাৎই গ্রন্থাগার কতৃপক্ষ জানান, পুরনো বই ফেরত দিতে কোনও জরিমানা দিতে হবে না। তখনই লেসি বইটি ফেরত দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। ৫৬ বছর পর সেই বইটি গ্রন্থাগারে ফেরত দেন তিনি। গ্রন্থাগার কর্মীরাও এতদিন পর বইটি ফেরত পেয়ে অত্যন্ত খুশি। সেইখানকার কর্মীরা লেসির জরিমানার হিসাব করে দেখেন, জরিমানা কার্যকর থাকাকালীন ওই বইটির জন্য লেসিকে জরিমানা দিতে হত প্রায় ২ হাজার ইউরো, যা ভারতীয় অঙ্কে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা প্রায়।