ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২২ মেঃ (Latest News) প্রকৃত জনপ্রতিনিধীর উদাহরণ উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির তপন রায়
উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স মূলত চা বলয়। সবুজে ঘেরা যেদিকে নজর যায় শুধু চা বাগিচায় ভর্তি ডুয়ার্স। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার চবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার এমন কোন জায়গা নেই যে চা বাগান দেখতে পাওয়া যায়। বছরের বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়া এমনকি নতুন করে খুলে যাওয়ার গল্প অনেক শুনেছি।
কিন্তু আজকের সময় দ্বারীয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবসে, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার প্রত্যন্ত ব্লক ধূপগুড়ি, আর সেই গ্রামীন ব্লকের প্রত্যন্ত জঙ্গল লাগোয়া গ্রামাঞ্চল ঝাড় আলতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এর সামান্য কয়েকটি এলাকায় যেন রাতের অন্ধকারে গজিয়ে উঠেছে চা বাগিচা। যএখানে শুধুমাত্র চা বাগান মালিক রুটি রোজগার দেয়নি। সে বাগান থেকেই মিলেছে – গ্রামের বহু হতদরিদ্র দুঃস্থ মানুষের জীবন জীবিকা, মিলেছে একাধিক কর্মসংস্থান। আর যার কৃতিত্ব ঝাড় আলতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃক প্রদান করা ছোট্ট এক প্রকল্প।
২০১৭-১৮ বর্ষের সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য (তৃণমূল) তথা বর্তমান গ্রাম পঞ্চায়েতের শিল্প ও পরিকাঠামো দফতরের সঞ্চালক তপন রায় একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েতের এমজিএনআরজিএস (MGNRGS) প্রকল্পের সুবিধা দিতে গ্রামের মোট ৩২ জন বেনিফিসারিকে চিহ্নিত করেন, আর আজ যারা প্রত্যেকে এক একটি চা বাগানের মালিকপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যাদের চা বাগানে আজ গ্রামের দরিদ্র শ্রমিকরা চা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তপন রায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য , স্কুল জীবন থেকেই গ্রাম্য জীবনে চা বাগানের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন । সে সময় থেকেই তিনি চা বাগানের গুরুত্ব ও চা বাগানে ভবিষ্যতে আর্থিক থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের কথা ভেবেছেন আজ তিনি নিজেও একজন বেনিফিশিয়ারি। তার নিজস্ব চা বাগানে আজ প্রত্যেকদিন শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন তিনি নিজে অত্যন্ত গর্বিত, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজস্ব এলাকার মানুষজনকে এভাবে কাজ দিতে পেরে। পাশাপাশি চা বাগানে কাজ করা শ্রমিকদের দাবি এলাকায় আরো চা বাগান তৈরি হোক। বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজের ভীষণ অভাব। ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হয় একাধিক সময় তবে চা বাগানে কাজ মেলায় অনেকটাই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস তাদের কাছে।
এবং এরই সাথে রবিবার ওই গ্রামের মানুষের সুবিধার্থে রক্তদান শিবিরের আয়জন করল গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যরা।
(EVM News)
