ইভিএম নিউজ ব্যুরো,১০ ফ্রেব্রুয়ারিঃ পান  চিবোতে চিবোতে অফিস যাওয়াই হোক কিংবা একান্নবর্তী বাঙালি বাড়িতে দুপুরের খাওয়া দাওয়া  মিটলে বাড়ির মহিলাদের পান চিবোনো  সবই বর্তমানে অতীত।

আজকাল পানও নিজের ভোল বদলে ফেলে, নতুন রূপে ধরা দিয়েছে বাজারে। এখন আর আগের মতো চুন, সুপুরি, খয়েরে সীমাবদ্ধ নেই। এসেছে নানা ধরনের পানের রকমভেদ। চকলেট পান থেকে শুরু করে আইস্ক্রিম পানও এসেছে বাজারে। আজকাল  অনেক বিয়েবাড়িতেও  ফায়ার পানেরও  দেখা মেলে।

আজ কলকাতা শহরের প্রতিটি প্রতিটি অলিগলিতে পানের দোকান রয়েছে। তবে  আজ কলকাতার কয়েকটি বিখ্যাত বিখ্যাত পানের  দোকানের হদিশ  দেব আপনাদের ।

প্রথমটির  হদিশ মিলেছে কলেজস্ট্রিট চত্বরে সবচেয়ে  নামকরা ৯২ বছর পুরনো কল্পতরু ভান্ডার। এটি সাধারণত খিলের পানের জন্য বিখ্যাত। ৫ থেকে ১০০০ টাকা অবদি পান পাওয়া যায় বিনোদ দত্তের এই কল্পতরু ভাণ্ডারে। শোনা গিয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দোকানে পান খেতে এসেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার, দিলীপ কুমার, প্রয়াত সংগীত শিল্পী মান্না দে এবং প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা।

দ্বিতীয়টি  হল তাজমহল পান শপ , এই ছোট আউটলেট  থেকে  আপনি সুস্বাদু পান খেতে কিন্তু  ভুলবেন না। কালীঘাটে অবস্থিত এই পানের শপটি প্রায়  ৮০ বছরের পুরনো। এই দোকানের পানের প্রেমে আজও মজে বাঙালি।

পরেরটি হল শেক্সপিয়ার সরণির এই  শিবুজি  পান দোকান । চেরি-টপড বিশেষ সহযোগে পান পরিবেশন করে, যা কলকাতার অন্যতম  পান দোকানের মধ্যে অন্যতম। বাঙালি অভিজাতদের মনে শিবুজির পানের প্রতি আলাদাই মোহ রয়ে গিয়েছে । কারণ  এটির বিশেষ মশলা পান মুখে লেগে থাকে সবার ।

পরেরটি হল  লক্ষণের পানের দোকান।  যেটি তার সৌন্দর্য এবং স্বাদের জন্য একইভাবে বিখ্যাত। সাধারণত  শৈল্পিক প্রকৃতির জন্য এই দোকানটি বেশ বিখ্যাত। মধ্যরাতে বাঙালির প্রিয় মাউথ-ফ্রেশনার অফার করতে পরিচিত এই লক্ষণের পানের দোকান। চূর্ণ বরফের টুকরো এবং গোপন মশলা এবং পুদিনা দিয়ে ভরা বিখ্যাত বরফের পানের স্বাদ নিতে  আসেন অনেকেই।

 আপনি কোনদিন শিঙারা ,আইসক্রিম পানের নাম শুনেছেন ? তারই হদিশ  পেতে আপনাকে যেতে হবে সল্টলেক সেক্টর ওয়ানে চৌরাসিয়া  দোকানের পান ।  দোকানটি  আজকাল  এক ধরনের ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী ও অফিসযাত্রীদের  কাছে।  আশপাশের প্রায় সকলেই  একডাকে চেনেন দোকানটিকে। প্রায় ১৫ বছরের পুরনো  এই পানের দোকানটি সল্টলেকের এফবি এবং সিএফ ব্লকে সুইমিং পুলের  কাছে অবস্থিত। এই দোকানটিতে  বেশিরভাগই মিঠা পান বিক্রি করা হয়  এছাড়াও সিঙাড়া পান, আইস পান, চকোলেট পান এবং গুন্ডি পানও সমানে জনপ্রিয়। এখানে প্রায় সমস্ত পান তৈরিতে একটি বিশেষ বেনারসি কাথা এবং হীরা মতি মশলা ব্যবহার করেন দোকানদার।

 পানপ্রেমীদের কাছে যেটি একেবারে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো ঘটনা। বাঙালির শেষ পাতে হোক কিংবা দিদা- ঠাকুমাদের থেকে চুরি করে খাওয়া, পান আমাদের কাছে নস্টালজিয়া । আর পানের এই ব্যবহার গুটখা ও পান মশলার দাপটে আগের মতো সার্বজনীন  না থাকার কারণে পানের সঠিক দর পাচ্ছেনা পান চাষিরা ,ফলে বহু জেলায় পান  চাষে উৎসাহ হারাচ্ছেন পানচাষিরা । আত্মহত্যার মতোও  ঘটনাও ঘটেছে হাওড়া জেলায়। সরকার এই ব্যাপারে নির্বাক বলেই অভিযোগ পানচাষিদের।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর