ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৪ মার্চঃ নিজেদের শিশুকন্যাকে স্বামীর কাছে রেখে স্নান করতে গিয়েছিলেন মা। আর সেই সময় বাবার লালসার শিকার হয়েছিল, ওই একরত্তি মেয়ে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের নামখানা থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া সেই জঘন্য ঘটনার মামলায়, পাঁচ বছর পরে অবশেষে রায় ঘোষণা করল, কাকদ্বীপ আদালত। শুক্রবার জঘন্যতম সেই অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে, কাকদ্বীপ পকসো আদালতের বিচারক সর্বাণী মল্লিক, অভিযুক্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি, অভিযুক্তের ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা, এবং সেই জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দেন মাননীয় বিচারক।
আদালত ও নামখানা থানাসূত্রে জানা গেছে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে সেই ঘটনার দিন, শিশুকন্যাকে তাঁর বাবার কাছে রেখে স্নান করতে গিয়েছিলেন মা। সেই সময়েই এই জঘন্যতম অপরাধ ঘটায় ওই ব্যক্তি। নির্যাতিতা শিশুকন্যার মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে, নামখানা থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী অফিসার অজয় চন্দ্র। গত প্রায় ৫ বছরে মোট ১৮ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এদিন দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে মামলার রায় দিলেন কাকদ্বীপ পকসো আদালতের বিচারক। রায় ঘোষণার পর খুশি ছড়িয়ে পড়ে, আদালত চত্বরে থাকা আইনজীবীদের মহলে।