ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৩ ফ্রেব্রুয়ারিঃ পুলিশ জানতো না। স্থানীয় পুরসভা বা প্রশাসনের কাছেও খবর ছিল না। আর এভাবেই লুকিয়েচুরিয়ে চলছিল নেশামুক্তিকেন্দ্র। পরিবারের মাদক আর রাগে আশ্বস্ত সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে, মোটা টাকার বিনিময়ে সেখানে রেখেছিলেন অভিভাবকরা। কিন্তু ঠিকঠাক চিকিৎসা বা পরিচর্যার তো দূরের কথা, উল্টে সেই আবাসিকদের ওপর রীতিমতো অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো বলে অভিযোগ। সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে দেখা করতে আসা অভিভাবকদের সেই যাবতীয় দুষ্কর্মের ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছিল, নেশামুক্তি কেন্দ্রের আবাসিকরা। আর তারপরই বেঁধে গেল ধুন্ধুমার। নিয়মমাফিক রবিবার আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তখনই আবাসিকরা তাঁদের বাড়ির লোকজনকে জানায়, ওই কেন্দ্রে তাঁদের অতি নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। ঠিকমত চিকিৎসা বা পরিষেবা দেওয়া হয় না। প্রতিবাদ করলে কর্তৃপক্ষের নিয়োগ করা ঠ্যাঙাড়েবাহিনী তাঁদের বেধড়ক মারধর করে। আর এর পরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে, আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসা তাদের পরিবারের লোকজন। কেন্দ্রটির কর্মচারীদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে
প্রথমে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রথমে বচসা তারপর এক সময় হাতাহাতি বেধে যায়। আর তারপরেই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আবাসিকদের নিয়ে চলে যান, তাঁদের পরিজনরা।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল রবিবারের এই ঘটনার পর, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের কবরডাঙা এলাকার ওই বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রটি নিয়ে, তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলেই জানিয়েছে, সেখানকার পুরসভা।