ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৪ মার্চঃ বিরোধী রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হলে, সেই দল আর আন্দোলনকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে, ক্ষতিপূরণের আইন চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শাসকদলের এ ধরনের আত্মপ্রচারমূলক কর্মসূচিতে সরকারি বা সাধারণ মানুষের সম্পত্তির ক্ষতি হলে কী হবে? কার কাছ থেকে নেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ? না, এ প্রশ্নের জবাব এখনও পর্যন্ত শাসকদল দেয়নি। বরং শাসকদলের একের পর এক সভাসমাবেশের কারণে খেলার মাঠ থেকে চাষের জমির ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারেবারেই। সম্প্রতি প্রশাসনিক সভা উপলক্ষ্যে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার প্যান্ডেলসহ গোটা সভাস্থল তৈরি করতে, সরকারি স্টেডিয়ামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল বলে জানা গেছে। যদিও সভা হওয়ার এতদিন পরেও, গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেডিয়াম খেলার উপযুক্ত বা আগের মত হয়ে ওঠেনি বলেই স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। পরিস্থিতিতে কার্যত দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচাতেই, শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের গর্ত ভরাট করে, চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ পরিদর্শনে সেদিনের সভাস্থলে হাজির হলেন সেখানকার মেয়র তথা বিধায়ক গৌতম দেব।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রশাসনিকসভা তথা সরকারি প্রকল্প বিতরণের অনুষ্ঠানের পর, মেয়র গৌতম দেব জানিয়েছিলেন এক মাস সময় পেলে তিনি মাঠকে আবার আগের চেহারায় ফিরিয়ে দেবেন। যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই এই স্টেডিয়ামে শুরু হতে চলেছে, একটি সরকারি ফুটবল টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের উদ্যোক্তা শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ। স্বাভাবিকভাবেই শনিবার সকালে শিলিগুড়ির মেয়র তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দেবের এই তদারকি করতে আসার ঘটনায়, দল তথা নেত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষার মরিয়া তাগিদ নিয়েই টিকাটিপ্পনি শুরু হয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে।
স্টেডিয়ামের গর্ত বোজানোই নয়, সেই সঙ্গে ফুটবল খেলার জন্য মাঠকে উপযোগী করে তুলতে, প্রশাসনিক সভার আয়োজন করতে গিয়ে যেসব জায়গায় ঘাস উঠে গিয়েছে, সেখানেও নতুন করে ঘাস বসানোর কাজ চলছে বলে পুরসভাসূত্রে জানা গেছে। যদিও বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, সামনেই মহকুমা ক্রীড়া পর্ষদের ফুটবল টুর্নামেন্ট না থাকলে কি, এই তৎপরতা দেখা যেত?