শ্রাবণী দাশগুপ্ত, ২৩ এপ্রিলঃ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা। ব্রিটিশ শাসকরা নাম পরিবর্তন করে করেছিল ESPLANADE. যা লোকমুখে এখন আবার হয়ে দাঁড়িয়েছে SPLANADE। কিন্তু ধর্মতলা নামটি শত চেষ্টাতেও মুছে দেওয়া যায়নি। আজও আমাদের কাছে ঐ নামেই পরিচিত এই অঞ্চল।
কিন্তু আদতে এই ধর্মতলার ইতিহাস অতি প্রাচীন। ব্রিটিশ যুগের অনেক আগেই এই অঞ্চলের নাম ছিল ধর্মতলা। এক বাঙালি জনগোষ্ঠীর বসবাসও ছিল এখানে। এই অঞ্চল ছিল সুন্দরবনের জল-জঙ্গলের অংশ। আর এখানে বিশাল এক গাছের নীচে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন তৎকালীন স্থানীয় অধিবাসীদের অধিষ্ঠাত্র দেবতা ধর্মঠাকুর। নিয়মিত তাঁর পুজো হতো। এমনকি গাজন মেলা এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজনও হতো ধূমধাম করে। আজকের ধর্মতলা দেখলে এসব বিশ্বাস করা শক্ত। কিন্তু ইতিহাস বলছে, এক সময়ে ঐরকমই ছিল।
ব্রিটিশরা এসে সে সব ধ্বংস করেছিল। জঙ্গল সাফ করে শহর বানিয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস অত সহজে মুছে ফেলা যায়না। ধর্মতলার সেই ইতিহাসের স্মৃতি ফিরে আসতে চলেছে এবার। আজকে যেখানে মনোহর দাস তড়াগ, সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে ধর্মঠাকুরের পুজো। ৫ ই থেকে ৯ ই মে। মার্গ দর্শন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং বঙ্গ কুম্ভমেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে এই পুজো হবে।শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন দক্ষিণ কলকাতার মহানির্বাণ মঠের সন্ন্যাসী স্বামী সর্বানন্দ অবধূত মহারাজ।পাঁচ দিন ব্যাপী এই ধর্মঠাকুর পুজো মহোৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ন্যাসীরা যোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন স্বামী সর্বানন্দ অবধূত মহারাজ।(EVM News)