ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২১ জুনঃ (Latest News) দেশজুড়ে তাপপ্রবাহে মৃত প্রায় ১০০ জন, এর মধ্যে বাংলার পরিস্থিতিও বিপজ্জনক। এই তীব্র তাপপ্রপবাহে কোমর্বডিটি রোগীরা অর্থাৎ যাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম তাদের বেশি ঝুঁকি।

গ্রীষ্মের চাঁদিফাটা গরম। চড়া রোদে দুপুরে রাস্তায় বেরোলেই হাঁসফাঁস অবস্তা হচ্ছে। মৌসম জানিয়ে দিয়েছে, এ বছরে তীব্র তাপপ্রবাহে কষ্ঠ পেতে হবে দেশবাসীকে। দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তাতে তাপমাত্রা কিছুতেই কমছে না। দিল্লি , বিহার, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাবে তীব্র তাপপ্রবাহে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। উত্তর প্রদেশে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, গোটা দেশে এই সংখ্যা ১০০-র ও বেশি।

চিকিৎসকরা বলেছেন, তীব্র তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোক, ব্রেন স্ট্রোক, শ্বাসের কষ্ট, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। কোমর্বিডিটির রোগীদের ভয় আরও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া।

এই তাপপ্রবাহের জেরে যে সকল রোগীদের বেশি ভয় তা হল- আগে থেকেই কোনও রোগ থাকলে, হার্ট- লিভার , কিডনির অসুখ, হাইপারটেনশন,ডায়াবেটিস থেকলে বা আগে জটিল অস্ত্রোপচার হলে তাকে তাদের ইমনিউটি পাওয়ার কমে যায় এবং তাদের কেই কোমর্বিডিটি বলা হয়। দেই সব রোগীদের হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার বা রোদে বেশিক্ষণ থেক্লে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিও বেশি, এই তাপপ্রবাহে বয়স্ক এবং শিশুদের ভয় ও বিপদ বেশি।

কী কারণে এই তাপপ্রবাহে মৃত্যু ঘটছে এবং কি কি রোগ হতে পারে-  এই বৈঠকে বেশ কিছু স্বাস্থ্য আধীকারিক বলেছেন, তাপপ্রবাহের কারণে ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়, পেট খারাপ, বমি হতে পারে, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার হলে সমস্যা আরও বাড়বে। বাইরের তাপমাত্রা শরীর সইতে না পারলে হজমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ঘন ঘন হজমের সমস্যা হয়, এর মধ্যে বাইরের খাবার বা জাঙ্ক ফুড বেশি খেলে তা থেকে ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে। এমনও দেখা গেছে প্রছন্ড তাপপ্রবাহের কারণে টাইফয়েড হয়েছে। রোদে বেশি হাঁটা হাঁটি বা দৌড়াদৌড়ি করলে শরিরের জল শুকিয়ে যায়। প্রচণ্ড গরমে একটানা কাজ করলেও এমনটা হয়। শরিরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। বাইরের তাপ আর শরিরের ভেতরের তাপের মধ্যে ভারসাম্য থাকে না। যার কারনেই শরীর আনচান করতে থাকে, নানা রকম অস্বস্তি শুরু হয়। যাঁরা দীর্ঘক্ষন খোলা জমিতে চাষ করেন বা শ্রমিক, দিনমজুররা এই তাপপ্রবাহে আক্রান্ত হয়েছে বেশি। মৃত্যুও হয়েছে আনেক। গত কয়েকদিনে বহু মানুষ রোদে বেরিয়ে অজ্ঞান হয়েছেন, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। এমনকি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে অনেকে।

এই তাপপ্রবাহের জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা কিছু সর্তকতা বার্তা দিয়েছেন- দুপুর রাস্তায় বেরনো ঠিক হবে না। রাস্তায় বেরোতে হলে সঙ্গে ছাতা, টুপি, টাওয়েল রাখবেন। রোদে বের হলে মাথা ওড়নায় ঢেকে রাখবেন। গরমের দিনে প্রচুর জল খেতে হবে। রোদে বেরোতে হলে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ লিটার জল খেতে হবে। সুতির কাপড় বা হালকা পোশাক পরাই ভাল, হাল্কা রঙের পোশাক পরা দরকার। সহজ পাচ্য খাবার খান। বাড়িতে তৈরি খাবারই ভাল, স্ট্রিট ফুড, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। বারে বারে চা-কফি না খেয়ে বাড়িতে লেবুর জল বানিয়ে খান। হাই প্রোটিন খাবার কম খান। ঝালমশলার খাবার , তেল, ঘি এই সময় এড়িয়ে চলাই ভাল। এছারা পায়ে ঢাকা জুতো পরে রেরোলে ভাল। (EVM news)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর