মাধব দেবনাথ, নদীয়া, ২৪ ফেব্রুয়ারিঃ মাঠঘাট বা ঝোপচার নয়। একেবারে সরকারি অফিসের মধ্যেই এবার মিলল তাজা বোমা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে এই প্রবল চাঞ্চল্যকর ঘটনায় হইহই রব পরে গেল, খোদ নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস, ও সংলগ্ন রেজিস্ট্রি অফিসের চত্বরে। শুক্রবার দিনেদুপুরে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী থেকে ল ক্লার্ক, নানা কাজে আসা মানুষজন সকলেই।

সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপারের অফিসের ঠিক পাশেই রয়েছে রেজিস্ট্রি অফিস। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকাল থেকেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন ল ক্লার্করা। সেসময় অফিসের পিছনে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে, রেজিস্ট্রি অফিসের কয়েকজন কর্মীর হয়। তাঁদেরই কয়েকজন ভাল করে লক্ষ্য করে দেখেন, ব্যাগের মধ্যে রয়েছে চারচারটি তাজা বোমা রয়েছে। এরপরেই ওই অফিস চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আতঙ্ক। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাগুলি উদ্ধার করে।

জেলাসদরের মতো প্রাণকেন্দ্রে কাজেরদিনের ব্যস্ত সময়ে, পুলিশ সুপারের পাশেই একটি সরকারি অফিসে, এমন বোমা পড়ে থাকার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে প্রশ্ন। প্রায় ১১ মাস আগে বগটুইয়ের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর, সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যে যেখানে যত বোমা আর বেআইনি অস্ত্র আছে, সেইসব ১০ দিনের মধ্যে উদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দীর্ঘ এই সময় পেরিয়ে রাজ্যে আরও একটি পঞ্চায়েত ভোটের আগেও যে বেআইনি বিস্ফোরকের মজুত এতোটুকুও কমেনি, এদিনের ঘটনায় তেমনটাই মনে করছে, রাজ্যের বিরোধী শিবির।

অন্যদিকে রেজিস্ট্রি অফিসের ভেতর থেকে চার চারটি তাজা বাবা উদ্ধার করে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে রেজিস্ট্রি অফিসের ভেতরে কিভাবে বোমা এলো তা নিয়ে ঘোরাফেরা করছে একাধিক প্রশ্ন। যদিও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তবে কি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলে বোমা লুকিয়ে রেখে গোপন করার চেষ্টা চলছিল। এখন দেখার পুলিশী তদন্তে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় কি উঠে আসে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর