ব্যুরো নিউজ, ২৮ নভেম্বর: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল| নিহত ১
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। এর ফলে আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, মাথার ওপর তৃণমূলের হাত আছে বলেই কি পুলিশকে আর ভয় করছে না দুষ্কৃতীরা? তাই জন্যই কি তৃণমূলের হাতেই খুন হতে হচ্ছে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে? দুষ্কৃতীরা কি জানে কাউকে খুশি করতে পারলে আর কোনও ভয় নেই? জয়নগর, আমডাঙার পর এবার গোসাবা। পথশ্রীর রাস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে অশান্তিতে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার রাধানগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, নিহত তৃণমূল নেতার নাম মুসাকলি মোল্লা। নিহত তৃণমূল নেতা রাধানগর তারানগর এলাকার বুথ সভাপতি।
বাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন পোস্টাল থানার অন্তর্গত রাধানগর তারানগর গ্রামে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার এলাকায় পথশ্রী প্রকল্পের একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। সেখানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বুথ সভাপতি মুসাকলি। এই নিয়ে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাঁধে। গণ্ডগোলের মধ্যেই মুসাকলি মোল্লাকে মারধর শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। লাঠি লোহার রড ও বাঁশের মুগুর দিয়ে পেটানো হয় তাঁকে।এমনকি বাঁশের মুগুর দিয়ে ওই তৃণমূল নেতার মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ওই তৃণমূল নেতা। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি আহত ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে আঘাত গুরুতর থাকায় কলকাতায় একটি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় মুসাকলি মোল্লার।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে খুন হতে হল মুসাকলি মোল্লাকে। নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী তানজিলা মোল্লা জানান,আমার স্বামী মাদার তৃণমূল করতেন। আক্রমণকারীরা যুব তৃণমূলের সদস্য। রাস্তা তৈরিতে কম সামগ্রী দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী। তাই তারা মাথায় মুগুর মেরে দেহ জলে ফেলে দিয়েছে । এই ঘটনার সঙ্গে বাকিবুর আর তাঁর দলবল জড়িত আছে। বাকিবুর গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডল ঘনিষ্ঠ।
নিহত তৃণমূল নেতার ছেলে মোর সেলিম মোল্লার দাবি, আমার বাবা তৃণমূলের মাদার দল করতো আর যারা আমার বাবাকে মেরেছে, তারা যুব তৃণমূল করে। আমার বাবা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মন্ডল ঘনিষ্ঠ আর যারা আমার বাবাকে মেরেছে তারা গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডল ঘনিষ্ঠ। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই আমার বাবাকে খুন হতে হলো। এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের শাস্তি চাই আমরা। ইভিএম নিউজ