ব্যুরো নিউজ ১৭ই মে : উত্তরবঙ্গের তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘তিস্তা প্রহার’ নামে একটি বৃহৎ আকারের সমন্বিত যুদ্ধ মহড়া পরিচালনা করেছে। এই মহড়ায় সেনাবাহিনীর যুদ্ধপ্রস্তুতি এবং বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যেকার সমন্বয়ের এক জোরালো চিত্র উঠে এসেছে।
নদী বিধৌত কঠিন ভূখণ্ডে অনুষ্ঠিত এই মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল বাস্তব যুদ্ধের পরিস্থিতির মতো পরিবেশে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা, আন্তঃবাহিনী সমন্বয় এবং যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করা।
প্রতিরক্ষা দফতরের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মহড়ায় পদাতিক বাহিনী, আর্টিলারি, সাঁজোয়া বাহিনী, মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রি, প্যারা স্পেশাল ফোর্স, আর্মি এভিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং সিগন্যাল সহ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও সহায়ক ইউনিটগুলি অংশগ্রহণ করে। এই মহড়ার একটি বিশেষ দিক ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা, আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম এবং উন্নত যুদ্ধক্ষেত্র প্রযুক্তিগুলির ব্যবহার ও কার্যকারিতা পরীক্ষা করা – যা সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের উপর ক্রমাগত জোর দেওয়ার প্রমাণ দেয়।
‘তিস্তা প্রহার’ মহড়ায় সমন্বিত প্রচেষ্টা, দ্রুততা এবং সাবলীল যোগাযোগের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ভূখণ্ড এবং প্রতিকূল আবহাওয়ায় দ্রুত ও কার্যকর অভিযান চালানোর সেনাবাহিনীর সক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। কৌশলগত অনুশীলন, যুদ্ধের পূর্বাভাস এবং পরিবর্তনশীল যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য অভিযোজনযোগ্য কৌশলগুলি এই মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই মহড়া প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, কার্যরত উৎকর্ষ এবং সর্বত্র স্থলে প্রস্তুতির প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি সেনাবাহিনীর ‘মিশন ফার্স্ট’ নীতি এবং সমন্বিত যুদ্ধ সক্ষমতাকেও আরও শক্তিশালী করে তোলে।
এই যুদ্ধ অভ্যাস ভারতবর্ষের উত্তর পূর্ব সীমান্ত এবং অঞ্ছল কে ভিত্তি করে , যেখানে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ই সম্প্রতিক কালে নেতিবাচক প্রতিদ্বন্ধির ভুমিকা পালন করেছে ।