কলকাতা তথা আর ফুটবলের জন্য আরো একটা যন্ত্রণার উইকএন্ড। শুক্রবার আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক পৃর্ণ করেছে ইস্টবেঙ্গল। আরেক প্রধান মোহনবাগান একেবারেই ছন্দে না থাকা চেন্নাইয়ান এফসি-র সঙ্গে বিরক্তিকর ফুটবল খেলে ম্যাচ ড্র করল। চলতি আইএসএলে মুম্বই, হায়দরাবাদের বিজয়রথ দৌড়নোর মাধ্যমে তারা যখন লিগ শিল্ড জয়ের জন্য লড়াই চালাচ্ছে, তখন বাংলার দু’ই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব প্রথম চার অথবা ছয় নম্বর জায়গার জন্য হাতড়ে বেড়াচ্ছে। বাগানে ফুল ফোটানোর কেউ নেই এটা ফের বাস্তবে পরিণত হলো। মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে হেরে অনেক সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে চেন্নাইয়ান এফসি-র সঙ্গে গোলশূন্যভাবে ম্যাচ শেষ করে লিগ শিল্ড স্পর্ষ দূরে থাক জুয়ান ফেরান্দোর মোহনবাগানের প্রথম চারে থাকার সম্ভাবনাও কার্যত শেষ। আর এর জন্য দায়ী ফেরান্দোই। রয় কৃষ্ণ. ডেভিড উইলিয়ামস, প্রবীর দাসদের বদলে যাঁদের ওপর ভরসা করেছেন ফেরান্দো তাঁর তথাকথিত ‘সিস্টেম’-এর ডঙ্কা বাজানোর মাধ্যমে, তাঁরা তো প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে দলকে ডোবাচ্ছেন। যার জ্বলন্ত উদাহরণ এই চেন্নাই ম্যাচ। যিনি ভাঙছেন কিন্তু মচকাচ্ছেন না। পেত্রাতোস বা লিস্টন কোলাসোরা ভালো ফুটবলার হলেও নিয়মিত গোল স্কোরার নন। গালেগো, লেনি রদ্রিগেজের মতো ফুটবলার ময়দানের আনাচ কানাচে রয়েছেন। ময়দানের বিখ্যাত বটতলার স্বগতোক্তি এঁরা কারা।
গোষ্ঠ পাল সরণির আর এক প্রাচীন ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান ফুটবলারদের মান নিয়েও শতেক প্রশ্ন। চলতি মরশুমে এ পর্যন্ত টি ১৪ ম্যাচের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ১০টি ম্যাচে হেরেছে। হাল ছেড়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচ ও বর্তমান ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন । দু’ই বড় ক্লাবের জার্সিতে খেলার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেও নিটফল শূন্য। ফলে একদিকে নৌকডুবি আর অন্যদিকে মশাল নিভে যাওয়া অব্যাহত।