জেগে

স্বপন দাস, ১৫ অক্টোবর: জেগে ঘুমাবেন না 

একটি বৃহৎ সংবাদ মাধ্যম। আর তাদের দাবি, তাদের না পড়লে নাকি পিছিয়ে পড়তে হয়। কিন্তু তাদের সম্পাদকীয় পড়লে তো আমার মনে হয় সকলকেই পিছিয়ে পড়তে হবে। এই যেমন ধরুন, তাদের এক সম্পাদকীয়তে কয়েকদিন আগে ইনিয়ে-বিনিয়ে এই ব্যাখ্যা করা হলো। যেখানে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা বাংলাকে না দেওয়ায় জনসাধারনের কতই না ক্ষতি হচ্ছে! সেখানে এই নিয়ে রাজ্যের যে দল দিল্লিতে আন্দোলন করতে গেল, তাদের আন্দোলনের সফলতা তুলে ধরার আপ্রাণ প্রয়াস পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বারে বারে লক্ষ্য করলাম। তাদের এই আন্দোলন যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ গোটা দেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য সেটা কত সঠিক ইত্যাদি। আসলে নানান যুক্তির জাল বুনে চরম সত্যটা চাপা দেওয়ার চেষ্টার প্রয়াস।  ১০ই অক্টোবরের সেই সম্পাদকীয়তে এটা বোঝানোর চেষ্টা হল যে, তাদের এই আন্দোলনে INDIA জোট কতটা উপকৃত হতে পারে। অর্থাৎ অন্যকে রাজধর্ম পালনের জ্ঞান দিয়ে এই সম্পাদক মহাশয় বোধহয় তার আকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক সাফল্য কামনা করতে গিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে এটা বলে ফেললেন যে, এই ১০০ দিনের আন্দোলন যেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে তা অনেকটাই সফল।

অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে বিক্ষোভ

এহেন বিজ্ঞ সম্পাদক মহাশয় কিন্তু একটি কথা এক বারের জন্যও উল্লেখ করলেন না যে, এই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য যে টাকা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্য সরকারকেদিয়েছে সেই টাকার হিসাব এই রাজ্য সরকার দেয়নি। এবং হিসাব দেওয়াটাও যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর একটি অন্যতম শর্ত সেটা বোধহয় তিনি একেবারে ভুলেই গিয়েছেন। কিংবা হয়তো কোনও বোঝাপড়ার কারণে সেটা বলতে পারছেন না। আর সেই শর্ত এই রাজ্য সরকার মানছে না বলেই কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না, যা হাইকোর্টে মাননীয় বিচারপতিদের দ্বারা উল্লেখিত হয়েছে। এই সহজ সরল নিয়ম কি মাননীয় সম্পাদক মহাশয় জানেন না? নাকি জেগে ঘুমনোর ভান করছেন?

তবে জনগণ যে সজাগ আছে সেটা এই কর্মসূচির তাবু গোটানোর তাড়া দেখেই বোঝা গেছে। তাই আমার মত, একটু পিছিয়ে থাকলেও ক্ষতি নেই যদি সে জেগে থাকে।  ইভিএম নিউজ

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর