এখনও পর্যন্ত যারা চাঁদে পাকাপাকিভাবে থাকার কথা ভেবেছেন। তারা অনেকেই চাঁদের মাটিতে জমি কিনেছেন। স্থায়ী ঘাঁটি তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে আগামী ৫ বছরের মধ্যেই নাকি চাঁদের মাটিতে চাঁদের মাটি ব্যবহার করে স্থায়ী গবেষণাগার তৈরি করবে চীন।

জানা গিয়েছে, সেখানে মোট ১০০ জনেরও বেশী বিজ্ঞানী, গবেষক এবং মহাকাশচারি থাকতে পারবেন। সম্প্রতি চীনের উহানে এ ব্যাপারে একটি সম্মেলন হয়েছে। সেখানে আসন্ন মিশনগুলির পাশাপাশি চাঁদে অবকাঠামো নির্মাণ সম্পর্কে আলোচনাও করা হয়েছে।

পাশাপাশি চাইনিজ একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষজ্ঞ ডিং লিয়ুন এবং তার সঙ্গী গবেষকদের একটি দল চাঁদের মাটি থেকে ইঁট তৈরির জন্য ‘চাইনিজ সুপার ম্যাসনস’ নামে একটি রোবটও ডিজাইন করছেন। চীনের চ্যাং-ই ৪ মিশনের সময় এটির ব্যবহার শুরু করা হবে। তখনই চাঁদের মাটি ব্যবহার করে ইঁট তৈরি করবেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালেই এই ইঁট তৈরির ব্যাপারটি চীনের মুন মিশনের অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। ২০২৫ সালেই চাঁদের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মাটির নমুনা আনার লক্ষ্যও রেখেছে চীন। ২০২০ সালের মিশনের সময়ই চীন চাঁদের থেকে মাটির নমুনা এনেছে। আগামী ২০২৬ সালে, চিনা সরকার তাদের চ্যাং-ই ৮ মিশনের চন্দ্রযান দক্ষিণ মেরুর আইটকেন বেসিনে রোভার অবতরণ করাবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি চাঁদে গর্তের নীচে বরফের সন্ধানও করবেন তারা।

চীন চায় তাদের মহাকাশচারীরা চন্দ্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পর দীর্ঘ সময় চাঁদেই থেকে যান। আর সেই কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই উঠে পড়ে লেগেছে চীনা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর