ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৫ ফ্রেব্রুয়ারিঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আদালতের নির্দেশে জেলায় জেলায় বাতিল হচ্ছে চাকরি। টাকা নিয়েও চাকরি দিতে বা রক্ষা করতে না-পারার অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন, রাজ্যের শাসকদলের নেতারা। টাকা ফেরত চেয়ে অভিযুক্ত নেতাদের ওপর চলছে হামলা আর হেনস্থার ঘটনাও। আর এমনই পরিস্থিতিতে, চাকরি চলে যাওয়া প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের কলার ধরে টাকা ফেরত নেওয়ার নিদান দিলেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাক্তার সুভাষ সরকার। বুধবার বাঁকুড়ার তালড্যাংড়ায় দলীয় একটি সভামঞ্চ থেকে বিজেপি সাংসদ বলেন, “যাদের চাকরি ইতিমধ্যেই গেছে, অথবা যাদের চাকরি যাবো যাবো করছে, তাঁদের বলছি আপনাদের চাকরি গেল টাকাও গেল। এখন মাইনের টাকাও ফেরত দিতে হচ্ছে। তাই যাঁরা টাকা নিয়ে আপনাদের এই অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে, তাঁদের ছেড়ে কথা বলবেন না”।
আপাত ভদ্রসভ্য আর শিক্ষিত বলে পরিচিত খোদ কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর মুখে এহেন আক্রমণাত্মক কথা শুনে, আসরে নামতে দেরি করেনি, শাসকদলের নেতারাও। বিজেপি সংসদ ডাক্তার সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে, পাল্টা কল্যাণীর এইমসে নিয়োগ নিয়ে সুপারিশের প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ শানিয়েছেন, তালড্যাংড়ার বিতর্কিত তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত দিনকয়েক আগে তালড্যাংড়ার এই এলাকায় একটি দলীয়সভা থেকে, বিজেপির এই স্থানীয় সাংসদকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছিলেন, তৃনমূলের কয়েকজন নেতা। বুধবার সেই একই জায়গায় সভা করে তার জবাব দেন ডাক্তার সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, হিম্মত থাকলে সামনে দাঁড়িয়ে মোকাবিলা করুন। পিছনে মাতাল পাঠাবেন না। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি করি। আমরা প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও প্রতিশোধ নিতে জানি।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে, দলের নীচুতলার কর্মীসমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে, কার্যত একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন রাজ্যের শাসক আর বিরোধীদলের শীর্ষনেতারা। তথাকথিত ডাকাবুকো আর বলিয়েকইয়ে নেতাদের পাশাপাশি আসরে নামানো হয়েছে, তুলনায় তাত্ত্বিক আর নিম্নভাষী নেতাদেরকেও। আর সুভাষ সরকারের মতো নেতাদের সেই ভোকাল টনিকের প্রভাব পঞ্চায়েতের ভোটবাক্সে বিজেপিকে কতটা সুবিধে দেয়, এখন সেটাই দেখার। রাহুল কর্মকারের রিপোর্ট, ইভিএম নিউজ, বাঁকুড়া।