ব্যুরো নিউজ, ৮ অক্টোবর: চন্দননগর কলেজের মিউজিয়ামে ঐতিহাসিক চমক
দীর্ঘকাল বন্ধ এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল প্রত্যাবর্তন সত্যিই রোমাঞ্চকর। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘পুনরুদ্ধার’ ও তাকে শহরের সমাজ-শিল্প-সংস্কৃতি, বিপ্লব আর কলেজের ইতিহাসের মিউজিয়াম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করাও চমকপ্রদ। গত ৩১ অগস্ট চালু হয় এই মিউজ়িয়াম। শুক্রবার তা উৎসর্গ করা হল বিপ্লবীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। সাধারণ মানুষ যাতে এই মিউজিয়াম দেখতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আজ হাই ভোল্টেজ ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ
চন্দননগর কলেজে গড়ে ওঠা মিউজিয়ামে ফিরে এসেছে এ শহরের ইতিহাস। স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ হয়ে যাওয়ায় ১৯০৮ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরে স্বমহিমায় ফিরলেও সময়ের ধাক্কায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল ভবনের। সংস্কারের পরে এখন সে ঝকঝকে। সে সাথে নিয়ে ফিরেছে এ শহরের ইতিহাস। ধরা রয়েছে তিন গ্রাম নিয়ে গঠিত সদ্যোজাত চন্দননগর থেকে আজকের চন্দননগর। রাসবিহারী বসু, শ্রীঅরবিন্দ, কানাইলাল দত্ত, মাখনলাল ঘোষাল, মোতিলাল রায়-সহ বহু বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধাও নিবেদন করা হয়েছে এখানে। অগ্নিযুগের সশস্ত্র সংগ্রামের রিভলভার থেকে ফাঁসির মঞ্চও রয়েছে এখানে।
প্রাচীন ভবনটি ২০১০ সালে হেরিটেজ তকমা পায়। তবে, পলেস্তারা খসে পড়ছিল ও মেঝে, ছাদ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২০২০ সালে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়। প্রদর্শশালার পাঁচটি ঘরের প্রথমটিতে লিপিবদ্ধ চন্দননগরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। দ্বিতীয় কক্ষে রয়েছে বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানানোর জায়গা। তৃতীয় ঘরে চন্দননগর থেকে হওয়া নানা বৈপ্লবিক কাজের তথ্য। চতুর্থ ঘরে এখানকার তাঁত, চরকা, নৌকা প্রভৃতি আছে। পঞ্চম ঘরে কলেজের ইতিহাস বর্ণিত আছে। তদানীন্তন সহ-অধ্যক্ষ চারুচন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ডুপ্লে কলেজ বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। এ দিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সদস্য পার্থরঞ্জন দাস, জাতীয় কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজিয়ামের পরিচালক নটরাজ দাশগুপ্ত প্রমুখ। প্রদর্শশালা রূপায়ণে উল্লেখযোগ্য অবদান থাকা শিল্পীদের সংবর্ধনা দেওয়া হল। শহরের বিশিষ্টজন, কলেজের প্রাক্তনীরাও সাক্ষী রইলেন গঙ্গাপাড়ের এক সময়ের ফরাসি উপনিবেশ এই প্রাচীন শহরে নতুন এক হেরিটেজ-যাত্রার। ইভিএম নিউজ