ব্যুরো নিউজ, ১৮ মার্চ, শর্মিলা চন্দ্র: গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মৃত প্রায় ৫। ঘটনায় আহত একাধিক । মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার রাতের এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।
এই ঘটনায় পাশের বাড়িগুলির ছাদের একাংশ ভেঙেছে, দেওয়ালে ফাটলও ধরছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুর বুজিয়ে বাড়ি তৈরি হচ্ছে, সংকীর্ণ রাস্তা, ৩ ফুটের রাস্তায় তৈরি হচ্ছে বহুতল। কীভাবে সম্ভব হচ্ছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
মৃত ও আহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা
রবিবার রাত ১২টা নাগাদ, কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুরে ভেঙে পড়ে গার্ডেনরিচের নির্মীয়মান বহুতলটি। আজহার মোল্লা বাগান এলাকায় একাধিক ঝুপড়ি ছিল। সেই ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়ে বহুতলটি। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে ঘটনাস্থল যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। গার্ডেনরিচের মৃতের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। যারা মারা গিয়েছে তাঁদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা, আহতদের পরিবার পিছু ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে এই ঘটনায়, গার্ডেনরিচ মেয়রের ‘দুর্গ’ বলে ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বিষয়ে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেন, গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকা মেয়র ও পুরমন্ত্রীর তথাকথিত দুর্গ বলে পরিচিত। হতাহতের সংখ্যা নিয়ে একের পর এক ফোন আসছে। দুর্গতদের উদ্ধারে অবিলম্বে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠান। বহুতল নির্মাণ ভেঙে মৃত্যুর ঘটনা বিরোধী শিবির ভোটে প্রচারে হাতিয়ার করে শাসক দলের চাপ বাড়াবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল