আধুনিক পদ্ধতিতে বাড়িতেই হচ্ছিল রমরমিয়ে গাঁজা চাষ। আর সেই গাঁজা চাষ করার অভিযোগ উঠেছে কর্ণাটকের তিন হবু ডাক্তারের বিরুদ্ধে।তিনজনই বর্তমানে পুলিশি হেপাজতে। তাদের কাছে থেকে গাঁজা, গাঁজার বীজ সহ বেশ কিছু মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে কর্নাটকের শিবামোগগা গ্রামীণ থানার পুলিশ।
সূত্রে খবর, ধৃতরা সকলেই একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র । ধৃতদের নাম যথাক্রমে ভিঘনারাজ, বিনোদ কুমার এবং পন্ডিদোরাই। এই প্রসঙ্গে শিবামোগগার পুলিশ সুপার জিকে মিঠুন কুমার বলেন, গাঁজা চাষ এবং বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ঐ তিনজনকে। তারা তামিলনাড়ু এবং কর্নাটক রাজ্যের বাসিন্দা। ওই তিন জন বাড়িতে গাঁজা চাষ করছিল। রীতি মতো আধুনিক হাই-টেক (hi-tech) পদ্ধতিতে চাষ করত তারা। আর সেই গাঁজা বিক্রি করা হত কলেজের অন্য পড়ুয়াদের। শিবামোগগার পুলিশ সুপার তাদের কাছে থেকে ২২৭ গ্রাম গাঁজা, ১.৫৩ কেজির (raw) গাঁজা, ১০ গ্রাম চরস এবং একটি বোতল পাওয়া গিয়েছে। ওই বোতলে রাখা ছিল গাঁজার বীজ।
পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, ভিঘনারাজ নামের পড়ুয়া ভাড়া বাড়িতে গাঁজার চাষ শুরু করেন। গাঁজার চাষবাস নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনাও করেছেন। তারপর অনলাইনে গাঁজার বীজ কিনেছিলেন। বিশেষ রকম বাল্ব ব্যবহার করে কৃত্রিম আলোয় মাদক চাষ শুরু করেন তিনি। ভিঘনারাজের কাছে থেকেই গাঁজা কিনতেন পন্ডিদোরাই, বিনোদসহ আরও অনেকেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত গাঁজা, গাঁজার বীজ, ছাড়াও ইলেকট্রিক ওয়াশিং মেশিন, ছটি টেবিল ফ্যান, দুটি স্টেবিলাইজ়ার, এলইডি আলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছে থেকে নগদ ১৯ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। (EVM News)
