ইভিএম নিউজ, ৬ মার্চঃ অতিরিক্ত হারে গলছে দক্ষিণ মেরুসাগরের বরফ। এই বছর ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি বরফ গলেছে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানী মহল। এইরকম হারে যদি বরফ ফলতে থাকে তবে খুব তাড়াতাড়ি মেরুসাগরের বরফ শূন্য হয়ে যাবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি দক্ষিণ মেরুসাগরের উপর ভেসে থাকা বরফের চাদর আস্তে আস্তে গলতে শুরু করেছে। আগের বছর ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে দেখা গিয়েছিল মেরুসাগরের বরফের চাদর ১.৭৯ মিটার বর্গকিলোমিটার অংশ জুড়ে রয়েছে। কিন্তু এই বছর তার ব্যাতিক্রম হয়েছে বিস্তর। এই বছর ২৫ ফেব্রুয়ারির রিপোর্ট বলছে প্রায় ১.৯২ মিটার বর্গকিলোমিটার অংশের বরফ গোলে গিয়েছে। এই প্রথম মেরুসাগরে এতো কম বরফ দেখা গিয়েছে। এর আগে এতো কম বরফ কোনোদিন দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা এর জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করছেন।
গবেষকদের দাবি, দ্রুত হারে বরফ গলছে মেরুসাগরে। বিশেষত কয়েক বছর ধরেই মেরু প্রদেশে বড় বড় বরফের চাঁই গলে যেতে দেখা গেছে। আসলে হিমশৈল গুলোই গলে সমুদ্রে মিশে যাচ্ছে। যার ফলে জলস্তরের পরিমাণ বাড়ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, যত পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে ততই বরফ গলে যাওয়ার হার বাড়বে। যে কারণে বিজ্ঞানীমহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, এই মেরু অঞ্চলের হিমবাহ সম্পূর্ণভাবে গলে গেলে, গোটা পৃথিবীতে সমুদ্রের জলস্তর গড়ে ২৩ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। যার জন্য সমুদ্রউপকূলবর্তী বহু শহর তলিয়ে যাবে জলের তলায়।
প্রসঙ্গত, গার্ডিয়ান পত্রিকায় মেরু অঞ্চলের বরফ গলার বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, দক্ষিণ মেরুসাগরে এতো কম পরিমাণে বরফ এর আগে কখনও ছিল না। তারা আরও বলেন, মেরু অঞ্চলের বরফ যত গলবে, সমুদ্রের জলস্তর ততই বৃদ্ধি পাবে এবং মেরুপ্রদেশের সামুদ্রিক ঝড়ও বৃদ্ধি পাবে। মেরুপ্রদেশের সামুদ্রিক ঝড় রুখে দেয় এই বরফই। যার জন্য স্থানীয় ভূপ্রকৃতির পরিবর্তনের শঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে।