ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২২ এপ্রিলঃ এবার উত্তরবঙ্গে বাঘ মামাদের উপর নজরদারি চালাতে অতিরিক্ত আরও দেড় হাজার ক্যামেরা ট্র্যাপ বসানোর সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর। সঙ্গে ট্রাঙ্কুইলাইজার গানও। গতিবিধির ওপর আরও আটোসাঁটো নজরদারি রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর। আর এর মাধ্যমে প্রমাণিত হবে জঙ্গলে দেখা মেলা বাঘেরা আসলে পরিযায়ী নাকি আবাসিক।
গত দু’ বছরে উত্তরবঙ্গে নির্দিষ্ট তিনটি সংরক্ষিত অরণ্য বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প, ন্যাওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান ও মহানন্দা অভয়ারণ্যে বারবার বাঘের আনাগোনা লক্ষ্য করে তাদের গতিবিধির উপর আরও আটোসাঁটো নজরদারির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।আর ওই তিনটি জঙ্গলেই শিকার করা হরিণ বা বাইসনের মতো বড় তৃণভোজীর দেহাংশ পাওয়া গিয়েছিল। ফলে বন দফতরের দাবি, নির্দিষ্ট ওই তিন অরণ্য এবং কালিম্পং ও দার্জিলিং বনবিভাগের বিস্তীর্ণ এলাকায় একাধিক বাঘের নিয়মিত যাতায়াত বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাঘেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নজরদারির পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজতে হবে। সেই কারণেই মনিটরিং টিমকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্যামেরা ট্র্যাপগুলো আমদানি করা হয়েছে আমেরিকা থেকে। ভারতীয় টাকায় যার মূল্য প্রায় ২৩ হাজার টাকার বেশি। ক্যামেরা ট্র্যাপের সঙ্গে সঙ্গে আমদানি করা হচ্ছে জিও ট্রাঙ্কুইলাইজার গান। মনিটরিং টিমের সদস্যদের জন্য হেলমেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ওই অত্যাধুনিক ক্যামেরাগুলিতে ইনফ্রারেড ও ফ্ল্যাশ ক্যামেরার মতো প্রযুক্তি ব্যবস্থা থাকবে। বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে বেরিয়ে এলেই দ্রুত তাদের জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে গঠন করা হয়েছে ক্যুইক রেসপন্স টিম।
এই প্রসঙ্গে বন দফতর শাখার মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর বলেন, বাঘগুলোর ওপর ঠিকমত নজরদারির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই নজরদারি বাড়াতে অতিরিক্ত দেড় হাজার অত্যাধুনিক ক্যামেরা ট্রাপ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।(EVM News)