টাকা তুমি কার? একের পর এক দুর্নীতিতে তৃনমূল নেতামন্ত্রীরা ধরা পড়ার পর সকলেরই যেন এক রা। “ওই টাকা আমার নয়।” অথবা “বিপুল পরিমাণ টাকার সিংহ ভাগ পেয়েছেন অন্য কেউ।” তার ওপর ডায়রির বহর। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে ধৃত সুদীপ্ত সেনের ছিল লাল ডায়েরি। আর এবার নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ধরা পড়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কালো ডায়েরি। ওই ডায়েরিতে ঠিক কী রয়েছে তা নিয়েই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। কিন্তু এই ডায়েরি রহস্য সমাধানে সময় বয়ে যাবে না তো? কুন্তল ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যকর একটি বয়ান সামনে এনেছেন। বলাগড় এলাকার আপাত “লাজুক” কুন্তল বলেছেন এই বিপুল পরিমাণ টাকার ১০ শতাংশ তিনি পেতেন। বাকিটা অন্যত্র যেত। তাহলে তার মানে কি এই দাঁড়াল না যে দলের অন্দরেই বড়-মেজো-সেজো নেতাদের যোগ সাজসেই এমন কেলেঙ্কারি? কুন্তলকে গ্রেফতার করার সময় রিমান্ড কপিতে কোন খাতে কত টাকা অথবা কোথা থেকে কত টাকা এর একটা হিসেব দিয়েছিলেন। যেটি ইডি আদালতে জমাও দিয়েছেন।
টেট, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম,একাদশ-দ্বাদশ এমন নান ক্ষেত্রে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কুন্তল যে টাকা তুলেছেন তা কিন্তু দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। এর অঙ্কটা তিরিশ কোটি ছুঁই ছুঁই এমনটাই সুত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে ২০১৬ থেকে ২০২১ এই সময়ের মধ্যে চলেছিল লেনদেন। এই লেনদেনের মাথাকে ইডি সেটাই এবার খুঁজে পেতে চাইছে। কুন্তলের অভিযোগ অনুযায়ী বি-এড এবং ডি-এল-এডের সভাপতি তাপস মণ্ডল ও গোপাল দলপতি এই চক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন। পাশাপাশি উঠে এসেছে তৃতীয় ব্যক্তির কথাও। সেই তৃতীয় ব্যক্তিই বা কে এই নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।