ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৯ মার্চঃ মরা পশুর ভাগাড়ের সঙ্গে যেন মানুষ বাস করার ঘরটার কোনও তফাৎ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু এত মরা কুকুরের দেহ এল কোথা থেকে? কে-ই বা নিয়ে এল? দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংইয়ং শহরের এই নারকীয় ঘটনার রহস্য সন্ধানে আসরে নামল পুলিশ। আর সেই পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে হাড় হিম করা তথ্য। জানা গেছে এই বিপুল সংখ্যক সারমেয় খুনের নেপথ্যে রয়েছেন, সেখানকার বাসিন্দা ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়াংপিয়ং শহরে বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধ। দীর্ঘদিন ধরে পোষ্যদের না খাইয়ে রেখে মেরে ফেলাই নাকি তার পেশা। হামেশাই স্থানীয়দের পোষ্য উধাও হয়ে যাচ্ছিল সেখানে । আর সেই হারিয়ে যাওয়া পোষ্যের খোঁজ করতেই পুলিশ হদিশ পান ওই বাড়িটির। আর তারপর পুলিশের চোখে পরে এই নারকীয় দৃশ্যর। পুলিশি জেরায় ওই বৃদ্ধ স্বীকারও করে বলে, রাস্তা থেকে সবরকমের কুকুরদের তুলে আনতেন। তারপর দিনের পর দিন না খাইয়ে রেখে মেরে ফেলতেন। পরে তার নেশা পেশায় পরিনত হয়ে গিয়েছিল ।
এই প্রসঙ্গে প্রাণী বিষয়ক একটি সংস্থা বলেন, কুকুরচাষীরা তাকে প্রতি কুকুর পিছু আনুমানিক ৬.৪২ ইউরো করে দিত। সেই কারণে তার এই রকম ও অনরকীয় কাজ করত। যে কুকুরগুলির আর প্রজননক্ষমতা থাকত না তাদেরও মেরে ফেলা হতো একই রকমভাবে। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির বিরূদ্ধে প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হয়েছে। যেটি দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, পোষ্য বা প্রাণীদের নিগ্রহে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তিন বছরের জেল হয় অথবা ৩০ মিলিয়ন ওন (দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা) জরিমানা দিতে হয়।