ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১২ ফ্রেব্রুয়ারিঃ স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , নিহতের নাম নিমাই জানা (৪৮)। আর খুনে অভিযুক্ত বধূর নাম কবিতা মিদ্যা। বহলিয়া গ্রামে মামারবাড়িতে ছোট বেলা থেকে থাকেন কবিতার স্বামী সুব্রত মিদ্যা। তিনি মামার বাড়িতে থাকায় স্থানীয় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। এমনকি বিয়ে করে সংসার ও পেতেছেন তার মামার বাড়িতে। বর্তমানে তাঁদের দুই নাবালক ছেলে-মেয়েও রয়েছে। মামারবাড়িতে পরিবারকে নিয়ে থাকায় আপত্তি ছিল সুব্রতর মাসতুতো দাদা নিমাইয়ের। যা নিয়ে প্রায়ই প্রতিনিয়ত অশান্তি করতো । এমনকি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলতো তাদের বলে অভিযোগ। সুব্রতর অবর্তমানে গতকাল দুপুরে ভরপেট মদ গিলে এসে কবিতার সঙ্গে অশান্তি শুরু করে নিমাই।অশ্লীল গালিগালাজ করে তাঁকে। শুধু তাই নয়, রান্না করা ভাত ও তরকারি গুলো লাথি মেরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কবিতা তার নিজের বাড়ি থেকে কাটারি বের করে এনে সোজা কোপ বসিয়ে দেন নিমাইয়ের গলায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ভিড় জমতে শুরু করে। জনরোষের পড়ার ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান কবিতা। এরপর বিকেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন কাঁথি মহিলা থানায়। খুনের কথা জানান এবং গ্রেপ্তার করার আর্জি জানান। কাঁথি মহিলা থানা মারফত ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে কাঁথি থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা।
