ব্যুরো নিউজ, ২২ জানুয়ারি:গত ৮ দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় বাঘের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। রাইকা, ভাঁড়ারি ও যমুনাগোড়া পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল, যার ফলে এলাকাবাসীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। বাঘের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে বনদফতর নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। বনকর্মীরা বিভিন্ন ফাঁদ পেতেছিলেন, কখনো ছাগল, কখনো শূকরের মাংস দিয়ে বাঘ ধরার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এছাড়া, ট্র্যাপ ক্যামেরা, ড্রোন ও জাল দিয়ে বাঘের গতিবিধি ট্র্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে বাঘ একদম ধরা দিচ্ছিল না।
২০২৫ সালের মাঘ গুপ্ত নবরাত্রি কবে থেকে শুরু? মাঘ গুপ্ত নবরাত্রির পূজা শুরুর আগে কী করা শুভ জেনে নিন
চমকপ্রদ তথ্য
এটি সেই বাঘ, যাকে সম্প্রতি পুরুলিয়ায় আসা বাঘিনী ‘জিনাত’-এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই বাঘটি জিনাতকে খুঁজতে গিয়েছিল। তবে, একাধিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বনদফতরের হাতে ধরা না পড়লেও বাঘটি শেষে পুরুলিয়া ছেড়ে চলে যায়। কোথায় গেছে বাঘ? এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতেই গত শনিবার থেকে বনকর্মীরা ১৪টি দলের মধ্যে ভাগ হয়ে তল্লাশি শুরু করেন। রাইকা, ভাঁড়ারি ও যমুনাগোড়া পাহাড়জুড়ে জাল দেওয়া হয়, যাতে বাঘ বেরিয়ে যেতে না পারে। কিন্তু, তাও বাঘ বন্দি হয়নি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছুদিন আগে ওড়িশা থেকে আসা বাঘিনী জিনাত বাংলার জঙ্গলমহলে যে জায়গাগুলোতে গিয়েছিল, সেই একই পথে চলছিল এই বাঘটি। তবে বাঘের গলায় রেডিও কলার না থাকার কারণে এর গতিবিধি ট্র্যাক করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছিল।
ঋষভ পন্তের নেতৃত্বে নতুন উদ্যমে এগোবে LSGঃ কি রকম সাফল্য আসবে সেদিকেই চোখ ক্রিকেট প্রেমীদের
অবশেষে, বনকর্মীরা একটি চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছেন। বাঘটি ঝাড়খণ্ডে চলে গেছে। যা বাঘের পায়ের ছাপ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘাঁটিকুলির জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে, যার মাধ্যমে বনদফতর নিশ্চিত হয়েছে যে, বাঘটি পুরুলিয়া ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে ফিরে গেছে। তবে, পুরুলিয়া থেকে বাঘ পুরোপুরি চলে গেছে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বনদফতর। তাঁরা নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন, যাতে ভবিষ্যতে যদি বাঘ ফিরে আসে, তাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।