ব্যুরো নিউজ ১৭ই মে : সম্প্রতিকালে হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে শুক্রবার কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্রে এক বিশাল তিরঙ্গা যাত্রা করল বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখা।
বিজেপি নেতা, স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং জাতীয় পতাকা হাতে মহিলারা সহ হাজার হাজার মানুষ এই যাত্রায় অংশ নেন। কলকাতার শিক্ষা ও বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত কলেজ স্কয়ার থেকে শুরু হয়ে এই শোভাযাত্রা কলকাতার অন্যতম পরিচিত স্থান শ্যামবাজারের সাত মাথার মোড়ে এসে শেষ হয়।
কয়েক মিটার লম্বা একটি বিশাল তিরঙ্গা ধরে অংশগ্রহণকারীরা ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘পাকিস্থানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া সাহসী সেনাদের সালাম’ ইত্যাদি স্লোগান তোলেন।
সারাটা পথ জুড়ে鼓ের আওয়াজ, শঙ্খধ্বনি এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতার গান এক উদ্দীপনাময় পরিবেশ সৃষ্টি করে, যখন মিছিলটি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে এগিয়ে যায়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই তিরঙ্গা যাত্রা শুধু দেশাত্মবোধের বহিঃপ্রকাশ নয়, এটি ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি সংহতির বার্তা।
অধিকারী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন সিন্দুর’ ভারতের সামরিক শক্তি ও কৌশলগত স্পষ্টতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আজ, পশ্চিমবঙ্গের যুবক, মা ও নাগরিকরা এক কন্ঠে আমাদের সাহসী জওয়ানদের স্যালুট জানাতে সমবেত হয়েছেন।”
মিছিলে উপস্থিত রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই অনুষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গের “নতুন চেতনার” প্রতিফলন।
তিনি বলেন, “আজ কলকাতার রাস্তা জাতীয়তাবাদে মুখরিত। মানুষ স্পষ্ট করে দিয়েছে – যখন দেশের সম্মানের প্রশ্ন আসবে, তখন কোনও আপস করা হবে না। ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর বার্তা ছিল স্পষ্ট: ভারত হুমকির মুখে দাঁতভাঙা জবাব দেবে।”
অংশগ্রহণকারীদের সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনকারী প্ল্যাকার্ড এবং যুদ্ধেরত সেনাদের ছবি সম্বলিত পোস্টার হাতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২২শে এপ্রিল পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ৭ই মে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামোগুলিতে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়, যা ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পরিচিত।