ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১০ ফেব্রুয়ারিঃ শুরু হয়েছিল টালিগঞ্জ-বেলঘরিয়া দিয়ে। তারপর একে একে গার্ডেনরিচ ,হাওড়া, মালদা, হালিশহর হয়ে বালিগঞ্জ। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গরিয়াহাট । কোটী শব্দটা যেন বাংলার সঙ্গে মিশে গিয়েছে। বাংলা কি তবে কালো টাকার হাবে পরিণত হয়েছে? বিগত কয়েক মাসের পরিসংখ্যান অন্তত সেই দিক-নির্দেশেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বুধবার বিকেলেই বালিগঞ্জে গজরাজ গ্রুপের একটি সংস্থায় অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গোপন সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে গরিয়াহাটে একটি গাড়ি থেকে প্রায় এক কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে , এই গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম শিকারিয়া এবং তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিটি ভাই দু-জনেই এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন উক্ত নির্মাণ সংস্থার মাধ্যমে।
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে , গত ৪ বছরে কলকাতায় অন্তত ৪২ টি নির্মাণ কাজ করেছে এই সংস্থা, যার ৭০ % কাজ হয়েছে দক্ষিণ কলকাতায় । এমনকি করোনার সময় যখন অন্যান্য নির্মাণ সংস্থার বেহাল অবস্থা , সেই সময়তে একের পর এক নির্মাণ কাজ করেছে এই গজরাজ সংস্থা। ইডির অনুমান, কয়লা পাচারের কালো টাকাই ব্যবহৃত হয়েছিল সেই সময়।
ইডির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে , বুধবারই চক্রবেড়িয়া রোডের সালসার গেস্ট হাউজ নামে একটি সম্পত্তির হাতবদল হয় আলিপুর আদালতে । সম্পত্তির বাজার মূল্য ১২ কোটি টাকা হলেও আদালতে তা ৩ কোটি টাকা বলে জানানো হয়। গেস্ট হাউজটি কেনেন বিক্রম ঘনিষ্ঠ মনজিৎ গ্রেওয়াল।
গত বুধবার গজরাজ সংস্থার মালিক বিক্রম শিকারিয়াকে রাতভোর জিজ্ঞাসাবাদের পর কোন সদুত্তর না মেলায় গত বৃহস্পতিবার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আরও ৩ জনকে ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয় । অনুমান সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গরিয়াহাটের কাছে একটি গাড়ি থেকে এক কোটি টাকা উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।