ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৮ জুলাইঃ (Latest News) পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে একের পর এক কংগ্রেস সমর্থকদের মৃত্যু। শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কৌস্তভ বাগচী, সুমন রায়চৌধুরীদের মত প্রদেশ কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের। কিন্তু নীরব থেকেছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী কিংবা মল্লিকা অর্জুন খড়্গর মতো কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। অথচ, সোমবার বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রীতিমতো খোশ মেজাজে দেখা গেল রাহুল, সোনিয়া, খড়্গদের।

মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং গোয়াতে কংগ্রেস দলে ভাঙন ধরানোর পর তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, সেই তিক্ততাকে দূরে সরিয়ে রেখে সোমবার সন্ধ্যায় নৈশ ভোজ বৈঠকের ফাঁকে লালু প্রসাদ, সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, মমতাদের হাসি-ঠাট্টার মেজাজে দেখা গেল।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, ফুলচাঁদ, আলফাজ উদ্দিনদের মতো কংগ্রেস কর্মী, যাদেরকে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ করছে সুমন রায় চৌধুরী – অধীর চৌধুরীরা, সেখানে দিল্লিতে তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নৈবেদ্য তুলে দিতে দেখা গেল রাহুল-সোনিয়া-খড়গেদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেস হাই কমান্ড এর কাছে তাদের দলীয় কর্মীদের জীবনের চাইতেও কি দেশীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়া অর্থাৎ যেন তেন প্রকারেনো দিল্লির মসনদ দখল করাই কি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ালো? ক্ষমতার দখলের লোভে কি মানবিকতা উধাও হয়ে গেল রাহুল-সোনিয়াদের? (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর