ইভিএম নিউজ ব্যুর, ২৬ এপ্রিলঃ কংগ্রেস করেন সেটাই দোষ- একঘরে পরিবার , মেয়র বিয়েও আটকে দিচ্ছে তৃণমূল  

দন্ডী কাটা নিয়ে রাজ্যজুড়ে হৈচৈ হয়েছিল কয়েকদিন আগেই। এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারের প্রতিবাদে রাস্তায় গড়াগড়ি খেলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার হেতমপুর গ্রামের জিবান শেখের পরিবার

সাধারণ পায়ে হেঁটে অভিযোগ চালায় তারা। এই প্রবল গরমে উত্তপ্ত রাস্তায় গড়াগড়ি দিলেন দুইভাই। জিবান এবং বাজান। তাদের হাতে জাতীয় পতাকা। সঙ্গে তাদের বোন মমতাজ  এবং ৮৬ বছরের বৃদ্ধা মা কোহিনূর বিবি। রীতিমতো হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল ঐ বৃদ্ধার। অনেক মানুষ এই দৃশ্য দেখেন।গড়াগড়ি দিয়ে তারা এসে পৌছান জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে। সেখানে ধর্নায় বসেছেন সপরিবারে।  বুকে দাবির প্লাকার্ড। সেখানে আম্বেদকরের ছবি। তারা জানান, বিহিত না হলে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাবেন।

জিবার শেখ যা জানিয়েছেন তা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। তার দাবি; তারা পুরনো কংগ্রেসী পরিবার।  দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস করে আসছেন। বাম আমলেও সরকারের বিরোধিতা করেছেন। এখন তারা তাদের ছোট বোনের বিয়ে দিতে গিয়ে পড়েছেন সমস্যায়। যেখানেই যোগাযোগ হোক সমন্ধ ভেঙে যাচছে। তাদের অভিযোগ ; খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় নিদানে এই পরিবারে মেয়ের বিয়ে হবে না। এছাড়াও তারা যখন নিজেদের জমি বিক্রি করে বোনের বিয়ের চেষ্টা করছেন তাতেও রেকর্ডে গরমিল পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি এই পরিবার কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখতে গিয়েও বাঁধা পাচ্ছেন। তার কথায়; এই নিয়ে পূর্বতন বিধায়ক নার্গিস বেগম; বর্তমান বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যকে সব জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। এমনকি বিডিওর কাছে বিহিত চাইতে গেলে তিনিও নাকি ব্লক সভাপতির কাছে যেতে বলেন।

এই নিয়ে না কি মুখ্যমন্ত্রীকেও বারবার চিঠি দিয়েও কোনো উত্তর পাননি। গোটা ঘটনায় তাদের যাবতীয় অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল দল এবং তৃণমূল পরিচালিত প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

তারা আরো জানান; সি পি এমের আমলে তাদের বিরোধিতা করলেও তারা কখনো এইরকম আচরণ করেন নি।

অন্যদিকে খানিকটা ডিফেন্সিভ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস।  তার কথায়; এটা হয়ে থাকলে খুব অন্যায় হয়েছে। তারাও এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারাও চান এর বিহিত হোক। কিন্তু একটি ব্যক্তিগত বিষয়কে দলের সাথে জড়িয়ে দিয়ে ঐ পরিবারটি ঠিক কাজ করেন নি। এটা সম্ভবত কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশের ঘটনা বলে দাবি প্রসেনজিৎ দাসের।

রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও এ ঘটনার কথা শোনার পর সেখানে যান।  কথাও বলেন ওই পরিবারের সঙ্গে।

অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আর রেশন কার্ড সহ অন্যান্য বিষয়ে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে যাওয়ার উপদেশ দিয়ে যান মন্ত্রী।

শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের সঙ্গে অবশ্য দেখা হয়েছে পরিবারটির। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ( EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর