নো রিটেন এক্সজাম:
ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৮ এপ্রিলঃ এবার শিক্ষাব্যবস্থায় এল বড় পরিবর্তন। জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তিতে ন্যাশানাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক তথা এনসিএফ (NCF) প্রস্তাব দিল, ক্লাস টু পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হোক (No written exams) জাতীয় স্তরে পাঠ্যক্রমে কি পরিবর্তন হবে তা ঠিক করার জন্য এনসিএসকে দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
এই প্রসঙ্গে এনসিএফের এক কর্তা বলেছেন, ক্লাস টু পর্যন্ত শিশুরা যে বৌদ্ধিক স্তরে থাকে তাতে তাদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বরং তার বাইরে গিয়ে তাদের আগ্রহ, উৎসাহের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা অনেক বেশি প্রয়োজন। মুখে মুখে বলে শেখানো, শোনানোর মধ্যে দিয়ে বোধ তৈরি করার পাঠ-কৌশল নেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে আরও বলেছেন, শিশু পাঠ্যক্রমকে যদি খেলার ছলে পড়ার উপযুক্ত না করে তোলা যায় তাহলে শিশুদের যথাযথ বৌদ্ধিক বিকাশেও ঘাটতি রয়ে যাবে। ক্লাসরুমকে যাতে বদ্ধ মনে না হয় সেই বিষয়েও নজর রাখতে হবে।
অনেক সময় লিখিত পরীক্ষা হলে মনের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে। ফলে স্কুলেও যেতে চায়না অনেকেই। ফলে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় পড়ুয়াদের মধ্যে। আর যা ক্লাস টু পর্যন্ত বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
প্লে স্কুল থেকে ক্লাস টু পর্যন্ত পাঠ্যক্রমকেই শিক্ষার ভবিষ্যতের ভিত বলে উল্লেখ করেছে এনসিএফ। বলা হয়েছে, ভিত শক্ত না হলে ভেঙে পড়বে গোটা সাম্রাজ্যটাই। বেশ কয়েকটি ভাগে স্কুল শিক্ষার পাঠ্যক্রমকে ভাগ করেছে এনসিএফ। তাতে প্লে স্কুল থেকে ক্লাস টু পর্যন্ত এক রকম। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীতে আর এক রকম। আবার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত সিলেবাস এবং তার পরবর্তীতে কীভাবে ক্লাসে পড়ানো উচিত সেই বিষয়েও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এনসিএফের এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।