কার

লাবনী চৌধুরী, ১৪ জানুয়ারি: আলিশান বাগান বাড়িটি কার? মন্ত্রীসভার মন্ত্রীর নাকি ভূতের রাজার?

এক বিরাট প্রাসাদ সমান বাড়ি! এক নজরে দেখলে মনে হবে এটি হয়তো কোনও জমিদার বাড়িই বটে। রয়েছে বিশাল ফুলের বাগান, পাতাবাহারি থেকে শুরু করে গাঁদা, গোলাপ কত্তো গাছের সম্ভার। বাইরের গেট থেকে ‘প্রাসাদে’র দরজা পর্যন্ত শানবাঁধানো সরু রাস্তা। দু’পাশ দিয়ে ঘেরা ফুলের গাছ। শান্ত এই সুন্দর পরিবেশে হাঁটতে হাঁটতে নিজেকে অনায়াসে জমিদার বংশের বংশধর ভেবেই নেওয়া যায়। গাছের ছায়ার নিচ দিয়ে টুকটুক করে চলতে চলতে পৌঁছে যাবেন বাঁধানো পুকুরঘাটে। নির্জন এই ঘাটে গাছের ছায়ার তলে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায় অনেকটা সময়। এতক্ষণে অনেকের মনে এই প্রশ্ন নিশ্চই উঁকি দিচ্ছে, যেই জায়গার বিবরণ দেওয়া হচ্ছে সেটি আদতে কোথায়?

যে শান্ত নির্জন পরিবেশে এক জমিদার বাড়ির গল্প আপনাদের শোনালাম, সেটি আসলে কোনও জমিদার বাড়িই নয়। তবে এই বাগান বাড়িকে জমিদার বাড়ির থেকে কোনও অংশে কম ভাববেন না যেনও। এক কথায় এই রাজ প্রাসাদের বিবরণ দেওয়া আমার সাধ্যের কম্ম নয়। তবে জানতে যখন চাইছেন তখন বলেই ফেলি! এই আলিশান বাংলো বাড়িটি হাওড়ার রাজাপুর থানার অন্তর্গত উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের ঘরভাঙ্গা বাসুদেবপুর গ্রামে। প্রায় ৩৭ একর জায়গা নিয়ে তৈরি। ফলের গাছ, ফুলের বাগান, তার পাশে বিরাট জলাশয় কি না নেই? যেটুকুর অভাব তা শুধু ওই স্বর্গের নর্তকীদেরই।

আজ থেকে শুরু রাহুলের ভারত ন্যায় যাত্রা | লোকসভাতেও তেলেঙ্গানা ফর্মুলাতেই ভরসা কংগ্রেসের!

এবার নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে শহরের এতো কাছে এতো সুন্দর ডেসটিনেশন, তবে তো হপ্তাআন্তে বেশ ঘুরেই আশা যায়। হ্যাঁ, এই প্রতিবেদন যদি আমিও পড়তাম তবে এই ইচ্ছা যে আমার হতো না সেই গ্যারান্টি আমি দিতে পারবো না। তাই নেহাত আপনাদের আর দোষ দেব না। এবার বরং ঝেড়েই কাশী!

সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, আর সেখানেই এই আলিশান বাগান বাড়ির ছবি তিনি তুলেধরেছেন। তবে এই সম্পত্তি কিন্তু কোনও সরকারী প্রপার্টি নয়। সেই পোস্টে তিনি দাবি করেছেন যে, এই বিশাল সম্পত্তি তৃণমূলের কোনও এক মন্ত্রীর। যাকে তিনি ‘উর্দু প্রেমী মন্ত্রী সাহেব’ বলে সম্বোধন করেছেন। আর সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৩৭ একর সম্পত্তিটির অবস্থান হাওড়ার রাজাপুর থানার অন্তর্গত উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের ঘরভাঙ্গা বাসুদেবপুর গ্রামে। ৩৭ একর জমির উপর ফার্মহাউসটি তৈরী করতে (জমির মূল্য সহ) ৫০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে।

একটু হাস্যরসযোগে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “এ রাজ্যের মা মাটি মানুষের নেতৃত্বদের বোধ হয় মাটির প্রতিই আকর্ষণ বেশী। তাই জমি, বাড়ি-সহ সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে তাদের প্রত্যেকের মধ্যে প্রতিযোগিতা হলে যে, কে হারবেন আর কেই বা জিতবেন, তা বলা মুশকিল। আশা করি, দেশের আয়কর দপ্তর মন্ত্রী মশাইয়ের আয়ের উৎস কি? তা অবশ্যই খুঁজে বার করতে পারবেন।” ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর