ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৩ এপ্রিলঃ( Latest News) আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ। আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে গণধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির এক আদিবাসী নাবালিকা স্কুল ছাত্রী। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদীর ধারে গরু চড়াতে গিয়েছিল ওই আদিবাসী নাবালিকা। নির্জন এলাকায় বাগে পেয়ে ওই আদিবাসী নাবালিকার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় পাঁচ যুবক। সেই সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ছাত্রীটি। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় ধর্ষিতার পরিবার খোঁজ শুরু করলে শেষমেশ নদীর ধারে গেলে সেখানে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়।তৎক্ষনাৎ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার।
চিকিৎসার পর জ্ঞান ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই আদিবাসী নাবালিকা। তারপরই ওই আদিবাসী নাবালিকার কাছ থেকে গোটা ঘটনার কথা জানতে পেরে শামুকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় ওই ধর্ষিতার পরিবার। অভিযুক্তরা নদীর পশ্চিম পারের বাসিন্দা হওয়ার দরুন নির্যাতিতা প্রত্যেককেই চিনতে পেরেছিল। বিষয়টি জানা মাত্রই কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করেন জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী।
শামুকতলা থানার ওসি অভিষেক ভট্টাচার্য্যের নেতৃত্বে রাতভর অভিযান চালিয়ে এখনো পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু বাকি দু’জন এখনও ফেরার। এদিন ধৃত তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে প্রচুর বাধার সম্মুখীন হতে হয় পুলিশকে। শেষমেশ পুলিশ কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে অভিযুক্তদের জালে ফেলে পুলিশ।
ঘটনার পরই তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি এই গ্রামীণ এলাকাটিতে। ধৃত তিন যুবকের নাম হরিচাঁদ টুডু, প্রদীপ টুডু ও সুরজ মারান্ডি। তদন্তের স্বার্থে বাকি দু’জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। পুলিশ সুত্রে খবর, আদিবাসী নাবালিকার মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
বুধবার অভিযুক্তদের আলিপুরদুয়ার এসিজেএম আদালতে পেশ করা হলে বিচারক মূল অভিযুক্তকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকি দুজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী আশ্বাস দেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপরতার সঙ্গে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাকি দু’জনকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে’। শেষ পাওয়া খবর, ধৃত যুবকরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। (EVM News)